জাতীয় নিশান প্রতিবেদক: নোয়াখালী—২(সেনবাগ—সোনাইমুড়ী) আংশিক আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের নাম ভাঙ্গিয়ে শাহেদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। তার নানামুখি অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে এলাকার মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কাদির হাজির বাড়ির তৌয়ব উল্যাহর পুত্র শাহেদ কিছুদিন আগেও ঢাকার চকবাজারে চাচার দোকানে চাকরী করতো। চাকরী করা অবস্থায় চুরি করে ধরা খেয়ে গ্রামে চলে আসে। এর পর দল পরিবর্তন করে রাতারাতি আওয়ামীলীগের সমর্থক বনে যায়। বিগত সংসদ নির্বাচনের সময় বর্তমান এমপি মোরশেদ আলমের নৌকা মাকার্র ভোট করে। মোরশেদ আলম নির্বাচিত হওয়ার পর এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে ও এমপির কাছের লোক পরিচয় দিয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম শুরু করে। মাটি ব্যবসার আড়ালে রাতের আধারে ধানি জমির মাটি লুট, সড়ক নষ্ট করাসহ মানুষের সাথে অসদাচরণ করতে থাকে। গত রোববার তিন তক্তা এলাকায় খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির মধ্য ভাগ ভেঙ্গে পড়ে। অভিযোগ রয়েছে, রাত দিন শাহেদর মাটি বহনকারী পিকআপ উক্ত ব্রিজটির উপর দিয়ে চলাচল করায় ব্রিজটি ভেঙ্গেছে। শাহেদ প্রভাবশালী ও এমপির লোক পরিচয় দেওয়ায় ভয়ে এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়না। ব্রিজটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ব্রিজটির দুই পাশে স্কুল, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে বিভিন্ন এলাকার রোগিসহ হাজার হাজার মানুষ উক্ত ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত শাহেদের উপযুক্ত বিচার দাবী করেছে।
স্থানীয়রা জানান, শাহেদ নব্য আওয়ামীলীগ। সে এলাকার প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতাদেরও মূল্যায়ন করেনা। সবার সাথে খারাপ আচরণ করে। এমিপ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রভাবশালীদের নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম করছে। এমপি সাহেব ভালো মানুষ হলেও শাহেদের মতো কিছু সুবিধাভোগির কারণে এমপি সাহেবের বদনাম হচ্ছে বলেও জানায় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহেদ—এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
Leave a Reply