প্রতিনিধিঃ
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে নোয়াখালী জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান হয়েছে। শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে এ পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসরাত সাদমিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা উপ-পরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কামরুন নাহারসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা। পাঁচ ক্যাটাগরিতে জেলায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে পাঁচ জন পুরষ্কারে ভূষিত হন।সমাজে উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরষ্কার গ্রহণ করেন জেসমিন আক্তার।এছাড়াও শিক্ষা ও চাকুরিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী পুরষ্কারে ভূষিত হন জয়িতা নারী মমতাজ বেগম,সফল জননী জয়িতা নারী যষদা নারী দাস,নির্যাতনে বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা জয়িতা নারী রজিনা আক্তার,অর্থনৈতিকভাবে সফল অর্জনকারী জয়িতা নারী রুমী আক্তার।পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সাথে সাথে নারীদের নিজেদের মন মানসিকতা পরিবর্তন করে এগিয়ে আসাটা জরুরী। দীর্ঘদিন গৃহবন্দী থাকায় তারা বাইরের জগৎ সম্পর্কে খুবই কম জানে। তাই কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা জরুরি। নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে হবে। রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে যত বেশি সংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে, তত বেশি নারী নেতৃত্ব তৈরি হবে। এই ক্ষেত্রে নারীদের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে নারীদের নিজেদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। নিজেকে যোগ্য রূপে প্রস্তুত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রপথিক। তিনি সব সময়ই নারীদেরকে সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে বলেন।নারীরা সমাজের অগ্রদূত, সমাজ উন্নয়নে নারীদের অবদান অনেক।দেশ উন্নয়নে নারীদের ভূমিকা অসামান্য বলেন বক্তারা।
Leave a Reply