বেডি বাঁধ নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্থ বসত ভিটা, চিন্তিত ভূমিহীনরা!
নিশান ডেক্স: নোয়াখালীর সুবর্নচরে বেড়ি বাঁধ নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভূমিহীনদের একমাত্র বসত ভিটা। এখনো পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে ভবিষ্যৎতের চিন্তায় দিশেহারা তারা। ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিকরা দ্রুত সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবী করেছে। তবে বরাদ্ধ পেলে যথা সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরন প্রদানের আশ^াস দিয়েছে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের অধিবাসীদের নদী ভাঙ্গন ও প্রাকৃতিক জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করতে নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড সিডিএসপি প্রকল্প-৪ এর আওতায় নলের চর ও নাঙ্গলিয়ার চরে রিজার্ভ বেডি বাঁধ নির্মাণের উদ্যেগ নেয়। বেড়ি বাঁধ নির্মানের জন্য যে ভূমির প্রয়োজন হয় তাও অধিগ্রহন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অধিগ্রহনকৃত ভূমিতে বেড়ি বাঁধ নির্মাণ প্রায় শেষ প্রর্যায়ে চলে এলেও এখনো ক্ষতিপূরণ পায়নি অধিগ্রহনের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিকরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিকরা বার বার সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্না দিয়েও কোন লাভ হচ্ছেনা। বসবাসের শেষ সম্বল হারিয়ে কোথায় যাবে আর কোথায় থাকবে পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা ও ছেলে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ক্ষতিগ্রস্ত অহসায় এসব মানুষ। স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান, আমরা রাত-দিন অনেক কষ্ট করে, দস্যুদের নির্যাতন সহ্য করে এই সম্পত্তি অগলে রেখেছি। অথচ আমাদের থাকার শেষ সম্বল টুকু বেড়ি বাঁধে চলে যাচ্ছে। সরকার যেহেতু আমাদের জন্য বেড়ি বাঁধ দিচ্ছে এখন হিসেব করে আমাদের ক্ষতিপূরণটা দিয়ে দিলেই আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচতে পারি। তছাড়া বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করলে তা ভেঙ্গে যায়, এর আগের বেড়ি বাঁধটিও ভেঙ্গে গেছে। তাই বারবার বেড়ি বাঁধ নির্মাণ না করে স্থায়ী ভাবে ব্লক বাধ নির্মানেরও দাবী জানান তারা। তবে বরাদ্ধ পেলে চলতি বছরের যে কোন সময় বেড়ি বাঁধ নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরন দেয়র আশ^াস দিয়েছেন নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, বেডি বাঁধ নির্মাণে অধিগ্রহনকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূন দেয়া হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শুধু আশ^াস নয়, বেড়ি বাঁধ নির্মনে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের দ্রুত ক্ষতিপূরন দিয়ে তাদের স্বাভাবিক বেচে থাকার পথ সুগম করবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা নদী ভাঙ্গা এসব ভূমিহীন মানুষের।