স্পট লাইট-১: স্কুল মার্কেট নয়, যেন পতিতা পল্লী
বিশেষ সংবাদদাতা: সোমবার(৪ মার্চ) সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিট। এক অভিভাবক সন্তানকে খতনা করাতে চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় তলার একটি খতনা সেন্টারে যান। তিনি খতনা সেন্টারটি আগে থেকে না চেনায় এদিক সেদিক খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি মার্কেটটির ৩য় তলায় খতনা সেন্টারটি সন্ধান করতে গিয়ে স্কুল কলেজের পোষক পরা কিছু ছেলে মেয়ের অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন। তিনি ৩য় তলার উত্তর পাশে লক্ষ্য করেন-৩টি ছেলে একটি মেয়েকে জড়ো করে দাঁড়িয়ে আছে। একটি ছেলে মেয়েটির হাত ধরে টানাটানি করছে। ওই ভদ্রলোক তাদের কাছে গেলেও সামান্য লজ্জাবোধটুকুও তাদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়নি। ওই ভদ্রলোকের সাথে স্ত্রীর বড় বোন ও শাশুড়ি ছিলেন। উনাদের বাড়ি চৌমুহনীতে নয়। উনারাও বিষয়টি দেখে নিশ্চই অবাক হলেন আর আমাদের চৌমুহনীর একটি পরিবেশ দেখে গেলেন। ভদ্রলোক খোঁজ করে পরে খতনা সেন্টার পেলেন এবং সন্তানকে খতনা করিয়ে বিদায় নেয়ার সময় এই প্রতিবেদককে বিষয়টি জানানোর পর মার্কেটটিতে অনুসন্ধান চালানো হয়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই মার্কেটটির উপর আবাসিক বাসা। নিচের ৩য় তলা পর্যন্ত মার্কেট। এখানে ফার্মেসি, ল্যাবসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মার্কেটে রয়েছে প্রতারকদের ব্যাপক আনাগোনা। মার্কেটের ১ম, ২য় ও ৩য় তলায় অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন পয়েন্টে, সিড়ির উপরে-নিচে জোড়ায় জোড়ায় ছেলে মেয়েদের আড্ডা। স্কুল কলেজের পোশাক পড়া ছেলে মেয়েদের আচরণ দেখে বিষ্মিত হতে হয়। তাদের মধ্যে লাজ লজ্জার কোন বালাই নেই। প্রকাশ্যে দিবালোকে হাত ধরে টানাটানি, দস্তাদস্তি—এরপর—– হোটেল, অথবা বাসা বাড়ি। একটি স্কুল মার্কেটের এমন চিত্র সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলছে।
এ প্রতিবেদকের কথা হয় মর্কেটের একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে। তারা জানালেন, এখানে বাহিরাগত ছেলেদের আড্ডার কারণে ঠিক মতো ব্যবসা করা যায়না। তারা মেয়েদের ইভটিজিং করে। অনেক মেয়ে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় তাদের সাথে মিশে যায়। মার্কেটের দু’একটি সাইনিজ হোটেলেও অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। (চলবে)