ধারাবাহিক প্রতিবেদন-২: উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও সুটকি সংরক্ষনাগার না থাকায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হাতিয়ার জেলেরা
ইয়াকুব নবী ইমন: নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়ায় উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও সুটকি সংরক্ষনাগার না থাকায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ জেলেরা। ন্যায় মূল্য না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোন মতে দিনাতিপাত করছে তারা। সুটকির ন্যায্য মূল্য পেতে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নতির ও সুটকি সংরক্ষনাগার স্থাপনের দাবী স্থানীয় জেলেদের। ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিয়েছে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, হাতিয়ার জেলেরা সব সময় নদীতে রুপালী ইলিশ পায়না। বর্তমানে ইলিশ মাছের পরিবর্তে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের মেঘনা নদীর উপকূলে ধরা পড়ছে প্রচুর চেউয়া মাছ। এই মাছ সংরক্ষনের ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয়রা সুটকি বানিয়ে সামান্য কয়েক দিনের জন্য সংরক্ষণ করছে। পরবর্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারী ক্রেতারা এসে কম মূল্যে এই সুটকি ক্রয় করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে কিছু সুটটি খাওয়ার জন্য রাখা হয়। বাকিটা প্রক্রিয়াজাত করে মাছ ও পশুর খাদ্য তৈরী করা হয়। সুটকি সংরক্ষনাগার না থাকায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় জেলেরা সুটকির ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে কোন মতে বেঁচে আছে তারা। সরকারী ভাবেও কোন সহযোগীতা পাচ্ছেনা জেলেরা। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সরকারী সহযোগীতার দাবী জেলেদের। নদীতে জলদস্যু ও বনদস্যুদের উৎপাতের কারণে বাইরের সুটকি ব্যাপারীরা আসতে না পারায় জেলেরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা বলেও অভিযোগ জেলেদের। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে ও সরকারী ভাবে ব্যবস্থা নিলে জেলেরা মাছ ও সুটকির মূল্য বেশি পেতো বলে জানালেন এই সুটকি ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে নিঝুমদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন বলেন, জেলেরা ন্যায্য মূল্য পাওয়ার স্বার্থে ও তাদের উন্নতির জন্য নিঝুমদ্বীপে সরকারী বা বেসরকারী ভাবে সুটকি সংরক্ষনাগার স্থাপন করা দরকার।
জেলা মৎস অফিসার মোতালেব হোসেন জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে নিঝুমদ্বীপে সুটকি সংরক্ষনাগার স্থাপনের প্রদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান। প্রন্তিক জেলেদের কথা চিন্তা করে সরকার নিঝুমদ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকায় মাছ ও সুটকি সংরক্ষনাগার স্থাপন এবং যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন করবে এমনটাই প্রত্যাশা হাতিয়াবাসীর।