হাসপাতালে ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভদের ফটো সেশনে অতিষ্ঠ রোগীরা!
স্টাফ রিপোর্টার: ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভদের ফটো সেশনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নোয়াখালীর প্রায় সবকটি জেলা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী উপজেলা হাসপাতালে রোগীর চেয়ে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড় বেশি। কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভদের ভিড়ে বৃদ্ধ, শিশু ও মহিলা রোগীরা নাকাল অবস্থায় পড়েছেন। রোগীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে কৌশলে ফটোশেসনে মেতে উঠেছেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভরা নিজেদের শক্ত অবস্থান কোম্পানির কাছে তুলে ধরতে তারা রোগীর ব্যবস্থাপত্রে নিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে নিচ্ছেন। বহির্বিভাগের সামনে এবং কোন রোগী ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার প্রেসক্রিপশন নিয়ে ছবি তোলা শুরু করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন কর্মচারী বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে বহির্বিভাগ খোলা থাকা পযন্ত রিপ্রেজেনটেটিভদের ভিড় পড়ে। ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে রোগীরা বেরিয়ে এলেই প্রেসক্রিপশন দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে কোম্পানির লোকেরা।
এতে করে রোগী ও তার স্বজনরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। নিয়মানুযায়ী সপ্তাহে দুদিন হাসপাতালে চিকিৎসকদের ভিজিট করার কথা। কিন্তু রিপ্রেজেনটেটিভরা নিয়ম অমান্য করে প্রতিদিন হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করে ও হাসপাতালে প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে শুরু করে ।
এ ছাড়াও হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে রোগীদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে তাদের কোম্পানির ওষুধ লেখা আছে কি না তা দেখতে রোগীদের ওপর প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়েন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রিপ্রেজেনটেটিভ জানান, আমরা এভাবে রুগী বা রুগীর আত্বীয়-স্বজনদের ভোগান্তী দিতে চাই না। তবে চিকিৎসক আমাদের কোম্পানীর ঔষধ লিখল কিনা সেটা ফটো না তুলে কোম্পানীতে না পাঠালে প্রতি মাসিক মিটিং এ বসরা গালিগালাজ করেন ।