যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
সোনাইমুড়ী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়ায় বৃহস্পতিবার সকালে যুবদল কর্মী আমজাদ হোসেনকে (৪৩) দূর্বৃত্তরা অপহরনের পর গুলি করে হত্যা করেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে। হত্যার ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি। নিহত আমজাদ হোসেন উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মনগাজী ব্যাপারী বাড়ীর মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ও নোয়াগাঁও ওয়ার্ড যুবদল কর্মী। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় বুহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে অজ্ঞাত নামা দুর্বৃত্তরা নিজ বাড়ীর পাশে সেলিমের দোকানের সামনে থেকে আমজাদ হোসেনকে অস্ত্রের মুখে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। বেলা একটার দিকে স্থানীয়রা পার্শবর্তী পদিপাড়া ধানুপুর গ্রামের ধান ক্ষেতের মধ্যে একটি লাশ দেখতে পায়। নিহতের স্বজনরা তার লাশ চিহ্নিত করে। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সামাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘনটাস্থল থেকে আমজাদ হোসেনের গুলি বিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল তৈরি শেষে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে। নিহতের বাম পায়ের হাটুতে গুলির চিহ্ন ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভারী বস্তুদিয়ে আঘাতের আলামত পাওয়া যায় বলে থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) নাজমুল হাসান জানায়।
নিহতের স্ত্রী সপ্না বেগম জানায় আমজাদ হোসেনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে ২০০২ সালে বিয়ে হয়। তাদের পরিবার বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি । এর পর থেকে সপ্না বেগমের বড় ভাই ফিরোজ (৪৫) ও পারভেজ (৪০) বিভিন্ন সময় তাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। এর প্রতিবাদ করায় গত বুধবার রাতে একই গ্রামের মোবারকের ছেলে মিরাজ (১৭) কে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা, এরই ধারাবাহিকতায় বড় ভাই ফিরোজ ও পারভেজ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদেরকে দিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন সপ্না বেগম। আমিশাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক বাবলু জানায় আমজাদ হোসেন স্থানীয় যুবদল কর্মী । নিহত আমজাদ হোসেন রাজনৈতিক মামলা-হামলার কারনে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ থেকে ঢাকায় তার বড় ভাই মানিকের দোকানে অবস্থান করছিলো। সম্প্রতি একটি মামলার হাজিরা দিতে গত বুধবার ঢাকা থেকে বাড়ী আসে। এঘটনা নিহতের স্ত্রী সপ্না বেগম (৩০) বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।