সোনাইমুড়ীতে ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন
সোনাইমুড়ী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ৬নং নাটেশ্বর ইউপির প্রবাসীর বাড়ীতে লুটপাট, ডাকাতি, হিন্দুবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ মসজিদের ইমামের মোবাইল, টাকা চুরিসহ আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা না নিয়ে রহস্যজনক কারণে আসামী গ্রেফতার না করার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর উদ্যোগে শুক্রবার বিকেলে চৌমুহনী সোনাইমুড়ী সড়কে নাটেশ্বর ইউপির ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার রফিক উল্যা, ব্যবসায়ী রহমত উল্যাহ, সমাজসেবক সাইদুল ইসলাম ও আবদুর রহিমের নেতৃত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানায়, গত কয়েক মাস থেকে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, হাইজ্যাক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রশাসনের নিকট তেমন কোন সহযোগীতা পাওয়া যায়নি। প্রবাসীর মা মহিলা রেজিয়া বেগমের ভাই আবদুর রহিম জানায়, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ডাকাত দল তার প্রবাসী বোনের বাড়ীর সামনে গুলির ফাঁকা আওয়াজ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মূহুর্তের মধ্যে দরজা জানালা ভেঙ্গে ১৬/১৭ জনের একদর ডাকাত হাত, পা বেঁধে এবং মুখে কসটেপ রাগিয়ে ঘরে থাকা প্রায় ৫০ভরি স্বর্ণ ও হীরার আংটি, মোবাইল, টাকাসহ লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এতে প্রায় ৫০লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়। ঐদিন সকালে বিষয়টি থানায় জানালে সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সামাদ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে আইনী ব্যবস্থা নিবে বলে আশ্বস্ত করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে। ঐদিন বিকেলে স্থানীয় সাবেক মেম্বার তরিক উল্য, জাবেদ, আবদুর রহিম, সাইফুলকে নিয়ে মামলা করতে গেলে পুলিম মামলা না নিয়ে সরকার বাদী মামলা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। কয়েকদিন পার হয়ে গেলে কোন প্রতিকার না দেখে আবার ১৬ই মার্চ মামলা করতে গেলে ওসি আবদুস সামাদ মামলার দরকার নেই বলে। তখন তার এলাকায় বিভিন্ন চুরি ও ডাকাতি মামলার আসামীদের তথ্য দেয়। তাদের তথ্য মতে মহিফুল নামে একজনকে আটক করে। তার আটকের ঘটনা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রচারিত হয়। কিন্তু রাতভর তাকে আটক রেখে রহস্যজনক কারনে সোনাইমুড়ী চৌরাস্তায় শিল্পী স্টোরে চুরির মামলায় অজ্ঞাত নামা চোর সন্দেহ দেখিয়ে হাজতে পাঠায়। এতে পুলিশ অফিসারদের প্রতি সন্দেহ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি কোর্ট থেকে সংগ্রহ করে নিশ্চিত হলে এলাকায় জানাজানি হলে সাধারন জনতার মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন করে। এলাকার ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যজনেরা জানায় এই ডাকাতির ঘটনা মসজিদের মাইকে ঈমাম মাইকিং করার অপরাধে ২/৩দিন পর মোবাইল, টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী হিন্দু পরিবার ঐদিন ডাকাতের ভয়ে চিৎকার দিলে কয়েকদিন পর ভূবন টেইলারে বাড়ীতে ঝুনু রানী দাসের পাকের ঘরে অগ্নিসংযোগ করে, কার্তিক চন্দ্র দাসের স্ত্রী প্রার্থনা রাণী দাস জানান, বর্তমানে তারা ভয়ে রাতে ঘুমাচ্ছেনা। সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। উক্ত ঘটনা গুলো তদন্ত করে থানায় মামলা গ্রহন করে দোষীদেরকে আইনের মুখোমুখি করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জোর হস্তক্ষেপ কামন করেন।