স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর নোয়াখালী-৪ আসনে প্রথম নারী মনোনয়ন প্রত্যাশী
স্টাফ রিপোর্টার: নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এবারই প্রথম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন একজন নারী। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহীনুর বেগম সাগর। অতীতে এ আসনে শুধু পুরুষ প্রার্থীরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সংসদ নির্বাচনে কখনই কোনো নারী প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি। এবারই প্রথম এ আসন থেকে সরাসরি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট শাহীনুর বেগম সাগর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে (সদর ও সুবর্ণচর) থেকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোটে লড়তে চান শাহীনুর বেগম সাগর। ১৫ নভেম্বর বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে তিনি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। বিএনপির দু:সময়ের এই নেত্রী দলের প্রয়োজনে রাজপথে ছিলেন সোচ্ছার। আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালে তিন বার গ্রেফতার হয়েছিলেন।
শাহীনুর বেগম সাগর জানান, দীর্ঘ ২১ বছর ধরে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়িত। ১৯৯৭ সালে ইডেন কলেজ ছাত্রদলের সদস্য হন তিনি। ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইডেন কলেজে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সে সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী প্রতিটি আন্দোলনে তিনি অংশ নেন। এ ছাড়া তার বাড়ি নোয়াখালীর সোনাপুরে। এ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। তাদের সুখ-দুঃখের গল্পগুলো শুনেছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে। নোয়াখালী-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছি। আশা করছি, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে বিবেচনা করবেন।
তিনি বলেন, সব সময় আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলাম। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আমার কর্মকা- সম্পর্কে অবগত। তাই মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। মনোনয়ন পেলে নেত্রীকে তিনি এ আসনটি নিশ্চিতভাবে উপহার দিতে পারবেন বলেও দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সাগরের জন্ম নোয়াখালীর সদর উপজেলার মধ্যম করিমপুর গ্রামে। সাগর ২০০২ সালে ইডেন কলেজ থেকে হিসবাবিজ্ঞানে অনার্স ও ২০০৪ সালে মাস্টার্স পাস করেন। ২০১২ সালে প্রাইম ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি ও ২০১৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে তিনি বার কাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ করেন। জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।