প্রবাসী জনির প্রচেষ্টায় পাল্টে যাচ্ছে সমাজের চিত্র!
ইয়াকুব নবী ইমন: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের বাসিন্ধা সিঙ্গাপুর প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম জনির প্রচেষ্টায় পাল্টে যাচ্ছে সমাজের চিত্র। এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দান-অনুদান দিচ্ছেন বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায়। প্রবাসে থেকেও এলাকার প্রতি জাহাঙ্গীর আলম জনির এমন ভালোবাসায় মহা খুশি এলাকাবাসী। জনির এমন সমাজিক কর্মকান্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ১৯৯০ সালে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলম জনি পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে। সেখানে শিক্ষা গ্রহন শেষে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে সু-প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও রহমান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সিঙ্গাপুরে প্রতিষ্ঠিত হলেও সব সময় জনির মন কাঁদে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। তাই প্রবাসে থেকেও এলাকার মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে তিনি নিজেকে জড়িয়ে নেন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে। সেই থেকে এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন একাধিক স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ। এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যুব সমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখতে আয়োজন করেন ক্রীড়া প্রতিযোগীতার। এ রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এলাকার গরীব মানুষের ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া, রমজানে রোজার সামগ্রী, ঈদে ঈদ সামগ্রী বিতরণ, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, শীতবস্ত্র বিতরণ সহ দান-অনুদান ও সহযোগীতার মাধ্যমে জড়িয়ে যান বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে।
এলাকার শিক্ষা বিস্তার ও মানুষের জীবণ-মান উন্নয়নে জনির এমন উদ্যেগে সাধুবাদ জানিয়ে জমিদারহাট রেডিয়্যান্ট রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষ এম এ হাসান জানান, সিঙ্গাপুর প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম জনি এই এলাকার জন্য আশির্বাদ। তিনি প্রবাসে থাকলেও এলাকার প্রতি ভালোবাসা সত্যিই প্রশাংসার দাবী রাখে। তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার জন্য এলাকায় শিক্ষার হার বাড়ছে। যে কোন বিপদে মানুষ তাঁর কাছে গেলে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রবাসে গিয়ে মানুষ নিজের ও পরিবারের চিন্তা করলেও জাহাঙ্গীর আলম জনি চিন্তা করেন সমাজের মানুষের জন্য। একজন প্রবাসী হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম জনি অন্য ১০ জনের ছেয়ে ব্যতিক্রম। আমরা ওনার আরো সফলতা কামনা করি।
রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হোসেন সেলিম জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে আমরা যে কাজটি করতে পারিনা প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম জনি সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন। তাঁর মতো অন্য প্রবাসীরা এভাবে এগিয়ে আসলে দেশ আরো উন্নত হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, আমরা অকেন প্রবাসী দেখেছি কিন্তু জাহাঙ্গীর আলম জনির মতো দেখিনি। তিনি সিঙ্গাপুরে উন্নত জীবন যাপন করেন। এর পরও এলাকার মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা প্রশংসার দাবী রাখে।
এক প্রতিক্রিয়ায় এম রহমান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জনি বলেন, নিজের দায়বদ্ধতা থেকে ও দেশের মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতেই সমাজ উন্নয়নের এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যত দিন বেঁচে থাকবেন এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন বলেও তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
সিঙ্গাপুর প্রাবসী জাহাঙ্গীর আলম জনি মতো সামর্থবান সকল প্রবাসী দেশের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে এগিয়ে আসবে ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।