নোয়াখালীতে যত্রতত্র সিগারেট বিক্রয় ও বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি
নিশান রিপোর্ট: নোয়াখালীতে বিভিন্ন উপজেলায় যত্রতত্র সিগারেট বিক্রয় ও বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। সরকারি আইন অমান্য করে জেলার সদর, হাতিয়া, কবিরহাট, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল ও কবিরহাট উপজেলাসহ বিভিন্ন হাট বাজারে ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে তামাক কোম্পানীর লোকজন। পণ্যের বিক্রয় বাড়াতে হাট-বাজার এমনকি জনবহুল এলাকাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল-কলেজের পাশে বসেছে কোম্পানীগুলোর এসব ভ্রাম্যমান দোকান। তামাকজাত দ্রব্য হাতের নাগালে থাকায় ধূমপানে আগ্রহী হয়ে পড়েছে অপ্রাপ্তবয়স্করাও।
এভাবে ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়ে ধূমপানে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে। বাংলাদেশকে ধূমপান মুক্ত করতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাথে বাংলাদেশের স্বাক্ষর করেছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রন আইন ২০০৫ এর(ক) ধারায় বলা আছে, প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়, বাংলাদেশে প্রকাশিত কোন বই, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, পোস্টার ছাপানো কাগজ, বিলবোর্ড বা সাইনবোর্ড বা অন্য কোনভাবে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা বা করানো যাবে না।
একই আইনের (খ) ধারায় বলা আছে, তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়ে প্রলুব্ধ করার উদ্দেশ্যে এর কোন নমুনা বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে জনসাধারণকে প্রদান করা যাবে না, এবং (ছ) ধারায় তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয স্থলে যে কোন উপায়ে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না, আইনের ৬(ক)(১) ধারায় কোন ব্যক্তি অনাধিক ১৮ বছর বয়সের কোন ব্যক্তির কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করা যাবে না, একই আইনের ৫-এর ৪ ধারায় উল্লেখ্য আছে কোন ব্যক্তি এই ধারায় বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড হইবে। এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হইবে।
এই আইনকে তোয়াক্কা না করে দোকানদার বা কোম্পানীগুলো অবাধে সিগারেট বিক্রয় করে চলেছে, এমনকি ফ্রি সিগারেট বা তামাকজাত সিগারেট বিতরণ করে লোকজনকে খাওয়ানোর জন্য উৎসাহিত করছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।