সোনাইমুড়ীতে প্রকাশ্যে দিবালোকে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে প্রকাশ্যে দিবালোকে বিন্তু নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে (২০) অপহরণে ব্যর্থ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার বিকালে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পৌর এলাকার নাওতলা মহল্লার মমিন কমিশনারের বাড়ীর সামনে এ ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত কলেজ ছাত্রীর স্বামীর সাথে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে ধারনা করছে তার পরিবারের সদস্যরা। ্জানা গেছে, নাওতলা গ্রামের খোরশেদ আলম রতনের কন্যা ও পৌর এলাকার ভানুয়াই গ্রামের জহিরুল ইসলাম জহির কমিশনারের পুত্র বধু রিয়াজ ভূইয়ার স্ত্রী বিন্তু মঙ্গলবার বিকালে কলেজ থেকে রিকসা যোগে নাওতলায় গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাকে বহনকারী রিকশাটি মোমিন কমিশনারের বাড়ীর সামনে পৌছালে হেলমেট ও মুখোশ পরিহিত ৩ যুবক রিকশার গতি রোধ করে চালককে মারধর করে কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ছাত্রীটি চিৎকার দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফেরদৌসি আক্তার বলেন, বিকালে রক্তাক্ত অবস্থায় এক নারী কলেজ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার দুই হাতে, পিঠে ও বুকে এবং গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। আহত কলেজ ছাত্রী বিন্তু জানান, আমার স্বামীর সাথে রাজনৈতিক বিরোধের জেরেই সন্ত্রাসীরা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। আহত কলেজ ছাত্রীর পিতা খোরশেদ আলম রতন বলেন, মেয়ের শশুর পক্ষের সাথে রাজনৈতকি থাকতেই পারে। আমার মেয়েতো কোন রাজনীতি করেনা বা কোন অন্যায় করেনি। তাকে কেন কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হলো। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই। সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। কিন্তু কোন লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।