করোনার হটস্পট চৌমুহনীতে ভবন লকডাউন না করায় স্থানীয়দের ক্ষোভ
নিশান রিপোর্টার: করোনার হটস্পট নোয়াখালীর চৌমুহনী শহরের হকার্স মার্কেটের উত্তর পাশে আবুল হোসেনের বাসায় ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বাড়ির মালিক আবুল হোসেনের হুমেিত পরিচয় গোপন রেখে তারা অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে বাড়িটি লকডাউন না করায় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্ধারা।
জানা গেছে, হকার্স মার্কেটের উত্তর পাশের আবুল হোসেনের বাড়ির ভবনে একাধিক চাকরীজীবি ও ব্যবসায়ী পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। এর মধ্যে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্ধা ইলিয়াস কাঞ্চন ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়। তাদের করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তারা বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন। ঈদের ২ দিন আগে ২৩ মে তাদের পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসে। এদিকে উপসর্গ দেখা দিলে বাড়ির মালিক আবুল হোসেন তাদের হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয় এবং নমুনা দেওয়ার সময় গ্রামের বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করতে বলে। বাড়ির মালিকের এমন হুমেিত তারা চৌমুহনীর ঠিকানা ব্যবহার না করে গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে। এতে করে প্রশাসনের লকডাউন থেকে বেঁচে যায় আবুল হোসেনের বাড়িটি। এদিকে গত সপ্তাহে ওই বাড়ির আরো তিন ভাড়া টিয়া যারা টোবাকো কোম্পানীতে কর্মরত তারাও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদেরও বাড়ির মালিক আবুল হোসেন বাসায় না আসতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে বাধ্য হয়ে তারা অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
একই বাড়ির ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও প্রশাসন বাড়িটি লকডাউন না করায় ওই এলাকার বাসিন্ধারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। একাধিক বাসিন্ধা প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও কোন লাভ হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেছে।
হকার্স মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পরিবারসহ ইলিয়াস স্থানীয় মসজিদে তারাবির নামাজ পড়েছে। সবার সাথে আড্ডা দিয়েছে। এর পরও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বাড়িটি লকডাউন না করায় ওই বাড়ির সবাই অবাধে চলাফেরা করছে ফলে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তাছাড়া আবুল হোসেনের ওই বাড়িটিতে রাত বিরাতে অজানা অচেনা লোকজনের আনাগোনা থাকে। তাদের অনেকেই স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই চলাফেরা করছে।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিচার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: অসিম দাস বিষয়টি দেখবেন বলে জানালেও এখনো পর্যন্ত কোন প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। ফলে ওই এলাকায় আরো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।