বেগমগঞ্জে সড়ক উন্নয়ন কাজ নিয়ে ষড়যন্ত্র
প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় দুটি সড়কের উন্নয়ন কাজ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। একটি কুচক্রিমহল স্থানীয়দের ভূল বুঝিয়ে সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিরহাট-মাইজদী বাজার-সাহেবের হাট-হাসান হাট অংশের সড়কের ২৩০০ মিটার ও একই সময়ে ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের সুরুরগো পোল-হোরনবিবি-হাজিপুর সড়কের মালেকের দোকান অংশের ২২০০ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সরকারের জিওবি মেন্টেনেজ প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি বেগমগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে চলছে এই নির্মাণ কাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথা নিময়ে নির্মাণ কাজ শুরু করলেও স্থানীয় একটি কুচক্রি মহল প্রথম থেকেই কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ আসায় কর্তৃৃপক্ষ কাজের মান ঠিক রেখে কাজ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়। নির্দেশের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিডিউল অনুযায়ী কাজ করলেও মহলটি বিভিন্ন ভাবে বিভ্রান্তি চড়াচ্ছে। একাধিক গণমাধ্যমকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা এলজিইডি বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে। এতে সর্বত্র বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্ধা আবুল হোসেন জানান, এই সড়কে চলতে গিয়ে আমরা অনেক দূর্ভোগের শিকার হয়েছি। অনেক দিন পর আমাদের এলাকায় রাস্তার এই উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। এতে একটি মহল খুশি হতে পারেনি। তারা চায় কাজটা যেন আবার বন্ধ হয়ে যায়। নিন্মমানের ইট বালু ব্যবহার হলে বা কাজের মান দেখার জন্য কর্তৃপক্ষ রয়েছে, উনারা বিষয়টি ভালো বুঝবে। আমরা চাই রাস্তার কাজটা ঠিক মতো হোক।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্নধার আবদুল হামিদ রাজু বলেন, সড়ক উন্নয়ন কাজে সিডিউল অনুযায়ী ভালো মানের ইট-বালুসহ অনুষাঙ্গিক উপকরন ব্যবহার করা হচ্ছে। টেন্ডারসহ সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহারের কথা বলে একটি মহল বিভ্রান্তি চড়াচ্ছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কাজী কামরুল ইসলাম জানান, আমাদের একজন সহকারী প্রকৌশলী বিষয়টি তদারকি করছেন। অভিযোগ যে ভাবে এসেছে সেই ভাবে সড়কে তেমন নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি। একটি মহল বিষয়টিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।
নোয়াখালী এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ আসায় আমরা লোক পাঠানোর পর তা সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশা করি সামনের কাজ নিয়ম মতো হবো। এখানে আমাদের তদারকি রয়েছে, অনিয়ম করার সুযোগ নেই, অনিয়ম হলে অবিশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।