নোয়াখালীতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ গাইড বই
স্টাফ রিপোর্টার: নোয়াখালীতে বই লাইব্রেরীগুলোতে সৃজনশীল পদ্ধতির ধারণাপত্র দাবি করে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই। বিভিন্ন প্রকাশনী শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতিকে ম্যানেজ করে শিক্ষার্থীদের বই কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এতে দিশাহারা হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জানা যায়, নোয়াখালী জেলার প্রাণকেন্দ্র চৌমুহনী শহর সহ প্রতিটি উপজেলায় বই লাইব্রেরিগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে অবৈধ নোট ও গাইড বই। প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে গাইড বইগুলো। লাইব্র্রেরীগুলোতে লেকচার, জুপিটাস, কম্পিউটার, পাঞ্জেরী, অনুপম, নিউ পপি, গ্যালাক্সী, পুথি নিলয়, নিউ স্টার, স্টারসহ বিভিন্ন নামে বই রয়েছে। গাইড বই কোম্পানীর এজেন্টরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে শিক্ষকদের দ্বারা ছাত্র-ছাত্রীদের ওই কোম্পানীর গাইড বই গুলো ক্রয় করার জন্য বলে। ফলে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের কথা বাধ্য হয়েই ওই কো¤পানীর গাইডগুলো কিনতে হচ্ছে।
অভিভাবক মো. কালাম মিয়া বলেন, বিনা মূল্যে বই দেয়া হলেও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা নোটও গাইড বই কিনতে বলায় বেশি মূল্যে বই গুলো কিনতে হয়। প্রশাসনের নজরদারি জরুরি। এ ব্যাপারে শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, সরকার সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মনোযোগ বাড়ানো সুযোগ করে দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসলে নোট বইয়ের প্রয়োজন নেই।