প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার১০নং নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হাজী সফি মিয়ার বাড়িতে বসব ঘরে হামলা, ভাংচুর ও মামলা করায় প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মোস্তফা প্রকাশ বাবুল সর্দারের পুত্র মো: সোহেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ফারজানা আক্তার বাদি হয়ে সোহেলসহ তিন জনকে বিবাদী করে নোয়াখালী সেনা ক্যাম্প, পুলিশ সুপার ও র্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, বিবাদী সোহেল বিদেশে থাকা অবস্থায় বাদীনি ফারজানা আক্তার স্বামী ফরহাদ আহম্মেদ রিফাতকে কোর্ট এফিডেভিট এর মাধ্যমে বিয়ে করে সংসার করছেন, তাদের চার মাসের একটি পুত্র সন্তানও আছে। ওই সময় থেকেই বিবাদী বাদীনিকে সংসার করতে দিবেনা বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে বিবাদী দেশে এসে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এর অংশ হিসেবে বিবাদী সোহেল তার সহযোগী অভিযোগের ২নং আসামী মহিউদ্দিনকে সাথে নিয়ে বিগত ১৯-৭-২০২৪ ইং তারিখে ফারজানার স্বামীর স্বামীর পরিবারের লোকজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে, বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানী করে ও হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ফারজানা সোহেল ও মহি উদ্দিনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা নং-৩৯/৩১২ দায়ের করেন। এতে সোহেল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ফারজানার ভাসুর ফয়সাল আহম্মেদ রাফিকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মম ভাবে মারধর করে। এ ঘটনায় ফয়সাল আহম্মেদ রাফি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে সি,আর মামলা নং৮৪৫/২০২৪ দায়ের করেন। যা নোয়াখালী পিবিআই তদন্ত করেছে। ফারজানার প্রতিপক্ষরা আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং নানা ভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এবং ঘটনার মিমাংসার কথা বলে উল্টো মামলা দিয়ে ফারজানার শশুর পক্ষের লোকজনকে নানা ভাবে হয়রানি করছে। বিগত ১-১১-২০২৪ইং তারিখে ঘটনার মিমাংসার জন্য স্বাক্ষীদের উপস্থিতিকে বৈঠক বসে। বৈঠক চলাকালে বিবাদীরা পরিকল্পিত ভাবে ফারজানার স্বামী, শশুর, ভাসুরসহ পরিবারের লোকজনের উপর মারমুখি আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে শালিস বৈঠক ভেঙ্গে যায়। পরে উত্তেজিত বিবাদীরা ফারজানার স্বামীর বসত ঘরে হামলা, ভাংচুর করে। এ সময় তারা তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার না করলে খুন, ঘুমের হুমকি দেয়। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকিতে ফারজানার স্বামীর পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। এমতাবস্থায় তারা ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত মো: সহেল ও মহিউদ্দিনকে পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply