জাতীয় নিশান প্রতিবেদক : নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার দয়া রামদি গ্রামে জোর পূর্বক অন্যের সম্পত্তি দখল করে ইট ভাটা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন মিরনের বিরুদ্ধে। সম্পত্তি ফেতর চাওয়ায় মালিকদের সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে ও সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে ভূক্তভোগীদের পক্ষে মামুন বাদি হয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার ও কবিরহাট থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, আনোয়ার হোসেন মিরন বিগত ২০০৩ সালে এলাকার একাধিক ব্যক্তির প্রায় ৪ একর সম্পত্তি দখল করে একতা ইটভাটা নির্মাণ করে। প্রশাসনের কোন প্রকার অনুমতি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার ছাড়পত্র ছাড়াই বছরের পর মিরণ অবৈধ ইট ভাটায় ইট নির্মাণ করে পরিবেশ দূষিত করে আসছিলো। ভূক্তভোগীরা বিভিন্ন সময় ভূমি ফেরত চাইলে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও মিরণ দখলকৃত সম্পত্তি চেড়ে দেয়নি। বিগত ২০২২ সালে এক শালিসি বৈঠকে ২০২৪ সালে ইটভাটা বন্ধ করে দখলকৃত সম্পত্তি চেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ২০২৪ সাল শেষ হয়ে গেলেও মিরণ সম্পত্তি ছেড়ে না দিয়ে উল্টো ইট তৈরী অব্যাহত রাখে। এতে আশপাশের পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেয়। ইটভাটাটির ২০০ গজের মধ্যেই ওটারহাট উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, হেফজ মাদ্রাসা, একাধিক বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসিজদ মোক্তব, হাট বাজার রয়েছে। গত ২-১২-২০২৪ইং তারিখে প্রশাসন অবৈধ ইটভাটাটির বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করাসহ ভাটাটি ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু পরবর্তিতে মিরণ নতুন করে চিমনি নির্মাণ করে ইট তৈরী শুরু করলে ২৭-১-২০২৫ইং তারিখে অভিযান চালিয়ে প্রশাসন আবারও ইটভাটাটি বন্ধ করে দেন। এরপরও মিরণ আমাদের দখলকৃত সম্পত্তি চেড়ে না দিয়ে উল্টোর সম্পত্তির মালিকদের বিভিন্ন ভাবে সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি দিচ্ছে।
এমতাবাস্থায় ভূক্তভোগীরা দখলকৃত সম্পত্তি ফেরত ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন মিরণের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply