শিরোনাম :
অর্থ আত্মসাত মামলার আসামি যুবলীগ নেতা হাজি মো: সেলিমের সহযোগী গ্রেফতার নোয়াখালীতে পৃথক ঘটনায় যুবলীগ নেতা গৃহবধু প্রবাসী স্কুলছাত্রসহ নিহত ৬  ফিলিস্তিতে গণহত্যার প্রতিবাদে সোনাইমুড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল   বেগমগঞ্জে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যের বসত ঘরে আগুন নোয়াখালীতে ৯৯ ব্যাচেরপুনর্মিলন ও প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন  ঈদে বিনোদন প্রেমিদের জন্য নতুন সাজে নোয়াখালীর গ্রীণ পার্ক দেশে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই।-ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন চট্টগ্রামে মাওলা আলী রাদিআল্লাহু আনহুর মহান শাহাদাত দিবস উপলক্ষে সালাতু সালাম মাহফিল অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে বদর দিবস উপলক্ষে সালাতু সালাম মাহফিল ও ইফতার মজলিস অনুষ্ঠিত ঘাস কাটতে গিয়ে মিলল তরুণের অর্ধগলিত লাশ

বেগমগঞ্জে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যের বসত ঘরে আগুন

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১০, ২০২৫
  • 344 পাঠক

জাতীয় নিশান প্রতিবেদক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য মনির আহাম্মদ এর বসত ঘরে আগুন দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা। বাড়িতে কেউ না থাকায় গত ৭ এপ্রিল সোমবার দিনে দপুরে  উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের খালিশপুর গ্রামের মমিন উল্যার বাড়ির মমিন উল্যার ছেলে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য  মনির আহাম্মদের বসত ঘরে এই আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।  তবে আগুন দেওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই স্থানীয় রুপসী বেগম নামের এক মহিলা দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে পানি দিয়ে আগুন নিভাতে সক্ষম হন।আগুনে ঘরের তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পায় সবত ঘর।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য মনির আহাম্মদ বাড়িতে থাকেননা। তিনি মাইজদী হাউজিংএ একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। সে সুযোগে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। প্রতক্ষদর্শী রুপসী বেগম জানান, আমি এ বাড়ির উঠান ঝাড়ু দেওয়ার সময় আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে পানি মেরে আগুন নিভায়। আগুন লাগার শুরুতে দেখতে পারায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে কারা আগুন দিয়েছে তা আমি দেখিনি।

অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য মনির আহাম্মদ বলেন, আমরা বাড়িতে থাকিনা, আমাদের ঘর খালি পড়ে থাকে। পাশের ঘরে আমার ভাই হারুনুর রশিদের পরিবার থাকে। ঘটনার দিন আমি খবর পেয়ে এসে দেখি আমার ঘরে আগুন দিয়েছে দুস্কৃতকারীরা । আমি তখন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই। আমার ঘরে কে আগুন দিয়েছে তা আমি দেখিনি, তবে আমার ধারণা আমার ভাইয়ের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী একই এলাকার সোহেল (৩০), ফারুক (৩২), উভয় পিতা মৃত আবুল কালাম সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন মিলে আগুন দিয়েছে। কারণ আমার ভাই হারুনুর রশিদের সাথে আমার সাথে জমি এবং টাকা নিয়ে বিরোধ চলছে। আমাকে বিভিন্ন সময় সোহেল ও ফারুক আমার ভাইয়ের পক্ষনিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে হারুনুর রশিদ বিদেশ থাকায় তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি তবে তার স্ত্রী রুবি বেগম বলেন, আমার স্বামী এ ঘটনার সাথে কোনভাবে জড়িত নই। আমার স্বামী ও আমার ভাসুরের মধ্যে টাকা নিয়ে ঝামেলা রয়েছে, তা সত্যি।

রাজগঞ্জের পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মীর মাহফুজুর রহমান অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেছি, আগুন লাগার ঘটনা সঠিক। মনির আহম্মদ সন্দেহজনক কয়েকজনের নাম বলেছে। তবে সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যায়নি। আমাদের তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে শেয়ার করুন...

এ বিভাগের আরো খবর....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *