শিরোনাম :
নোয়াখালীর খাদ্য নিয়ন্ত্রক হানি ট্র্যাপের শিকার, ৬০ লাখ টাকায় মুক্তি  বেগমগঞ্জে  ফেকহি সেমিনার অনুষ্ঠিত বেগমগঞ্জে দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে মালিক শ্রমিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে ; মাওলানা বোরহান উদ্দিন নোয়াখালীতে মাদরাসায় ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ বেগমগঞ্জে দূনীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল ধানের ন্যার্য মূল্য পাচ্ছেনা নোয়াখালীর কৃষক নিয়োগ বাণিজ্য ও দূর্নীতিবাজ সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল বেগমগঞ্জে কিশোরকে গুলি করে হত্যা, আটক ৩ অর্থ আত্মসাত মামলার আসামি যুবলীগ নেতা হাজি মো: সেলিমের সহযোগী গ্রেফতার

নোয়াখালীতে পৃথক ঘটনায় যুবলীগ নেতা গৃহবধু প্রবাসী স্কুলছাত্রসহ নিহত ৬

  • আপডেট সময় : শনিবার, এপ্রিল ১২, ২০২৫
  • 651 পাঠক

জাতীয় নিশান প্রতিবেদক: নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া পৃথক ঘটনায় গত ২৪ ঘটনায় গৃহবধু, প্রবাসী, স্কুলছাত্র, দিনমজুর, অটোরিক্সা চালকসহ আরো ৫ জন নিহত হয়। জেলার কোম্পাগনীগঞ্জ, হাতিয়া, সেনবাগ, সদর উপজেলায় পৃথক এ ঘটনাগুলো ঘটে। বিস্তারিত কমেন্টে।
কোম্পাগনীগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আব্দুল কাদের মিলন নামে (৩৫) এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ হত্যাকান্ডের কোন কারণ জানাতে পারেনি। নিহতের পরিবারের বলছে, রাজনৈতিক রেশ ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার চরপাবর্তী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আব্দুর রহীম এতিম খানার সামনে তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করা হয়।
নিহত মিলন উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলে এবং একই ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের আমিন মাঝি বাড়ির মো.ইসমাইলের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই আব্দুর রহীম রাকিব জানান, গত ৫ আগস্টের পর তার বড় ভাই মিলন বাড়ি থেকে চলে যান। এরপর তিনি সৌদি আরব গিয়ে ওমরাহ পালন করেন। ঈদুল ফিতেরর দ্বিতীয় দিন তিনি দেশে ফিরেন। শুক্রবার রাতে আমার ভাই মিলন আমার সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে পার্শ্ববর্তী ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় তার অসুস্থ শালাকে দেখতে যান। রাত ৯টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে কোম্পানীগঞ্জের চৌধুরীহাট বাজার এলাকার চুয়ানির টেক এলাকায় আমাদের সিএনজি পৌঁছলে ২-৩টি মোটরসাইকেলে আরোহী আমাদের সিএনজিকে ফলো করে আমাদের ধাওয়া করে। বিষয়টি আমার ভাই বুঝতে পেরে তিনি তার মামা শশুর যুবদল নেতা মাইন উদ্দিনকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানায়। এরমধ্যে মোটরসাইকে আরোহীরা আমাদের ধরে পেলে।
রাকিব আরো জানান, পরে হামলাকারীরা আমার ভাইকে আমার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আব্দুর রহীম এতিম খানার সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লোহার পাইপ দিয়ে ৪ঘন্টা ধাপে ধাপে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। যুবদল নেতা মাইন উদ্দিন আমাদের বাঁচাতে এলে হামলাকারীদের তোপের মুখে পড়ে তিনি চলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে আমার ভাইকে হামলাকারীদের থেকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের স্ত্রী বিবি জুলেখা বলেন, আমার স্বামী মৃত্যুর আগে তার হামলার সঙ্গে জড়িত ২০-২৫জনের নাম বলে গেছে। তারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার এখন কারো নাম,কোন কিছুই মনে আসছেনা। পরে হামলার সাথে জড়িতদের নাম জানাবো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন বলেন,এ ঘটনার সাথে কোন বিএনপির লোক জড়িত ছিল না। গত ১৫ বছর সে এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের রাজত্ব চালায়। তার হাতে নিষ্পেষিত লোকেনের ক্ষোভের বহিপ্রকাশের শিকার হয় সে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, জামায়াত-বিএনপির লোকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। উন্নত চিকৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
হাতিয়ায় ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুন:
নোয়াখালীর হাতিয়াতে বিয়ে নিয়ে বাগবিতন্ডার জের ধরে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুন হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাজনাহার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের চরচেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ছোট ভাই মো.সাকিবকে (২৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহত রাকিব উদ্দিন (৩০) একই গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় জানায়, ছোট ভাই সাবিক আগে ৩টি বিয়ে করে। এর মধ্যে কয়েক দিন আগে তিনি আরো একটি বিয়ে করেন। চতুর্থ বিয়ে নিয়ে শুক্রবার রাত ২টার নিজ বাড়িতে বড় ভাই রাকিবের সাথে ছোট ভাই সাকিবের বাগবিতন্ডা বেধে যায়। একপর্যায়ে সাকিব উত্তেজিত হয়ে বড় ভাই রাকিবকে বুকে ও বুকের পাশে ছুরিকাঘাত করেন। এতে তিনি গুরুত্বর আহত হন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে খুন করার পর ছোট ভাই সাকিব নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে তার বড় ভাইকে খুন করার বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ তাকে নিজের গ্রাম গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে.এম আজমল হুদা বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভুল ইনজেকশনে প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল ইনজেকশনে এক প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল বন্ধ ও ডাক্তারের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নিহতের স্বজনেরা।
গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে নিহতের স্বজনেরা উপজেলার বসুরহাট বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্ত ডাক্তারের গ্রেপ্তার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে বসুরহাট সেন্টাল হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ওই প্রবাসী যুবকের মৃত্যু হয়।
নিহত শাহরিয়ার মাহমুদ আবির (২৮) উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের সানাউল্যাহ বাহারের ছেলে এবং আবুধাবি প্রবাসী ছিলেন।
নিহতের ছোট ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন জানান, গত পাঁচ বছর ধরে আমার বড় ভাই আবির আবুধাবিতে বাবার সাথে ব্যবসা করত। গত তিন বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। প্রতি বছর তিনি দেশে আসা যাওয়া করতেন। গত বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি আধুধাবি থেকে বাড়িতে আসেন। তাৎক্ষণিক তার হালকা ডায়রিয়া ও জ্বর দেখা দিলে আমি, আমার মা ও ভাবী তাকে নিয়ে উপজেলার বসুরহাট সেন্টাল হাসপাতালে যাই। ওই সময় ডিউটি ডাক্তার বেলায়েত হোসেন মাহমুদ তার শরীরে একটি ইনশেকজন পুশ করে। এতে আমার ভাইয়ের চোখ,মুখ লাল হয়ে শরীরে জ্বালা পোড়া শুরু হয় এবং প্রেশার একবারে কমে যায়। পরে তার অবস্থা বেগতিক দেখে রাত ৮টার দিকে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রেফার্ড করে দেয়। এরপর তাকে ফেনীর জেড ইউ হসপিটালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার বারডমে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঢাকার বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ইমন আরো জানান, ইনজেকশনের প্রেসক্রিপশন দেখে ভুল ইনজেকশনে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আমরা অভিযুক্ত ডাক্তারের বিচার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবি জানাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের বক্ষব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের এমডি ডা.আ.ফ.ম আব্দুল হক অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, অভিযোগ যারা করেছে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলে কিছুই বুঝবেনা। রোগীর বমি ছিল ও আগে থেকেই প্রেশার একেবারে ডাউন ছিল। তখন আমাদের ডিউটি ডাক্তার স্যালাইন,ইনজেকশন দিয়ে তাকে ভর্তি দেয়। পরবর্তীতে তিনি বললেন স্যার আসলে দেখবে।
তিনি আরো বলেন,পরে আমাকে রোগীর ভর্তির বিষয়টি জানানো হয়। আমি রোগী দেখতে গেলে দেখি রোগীর প্রেশার একেবারে ডাউন, নেই বললেই চলে,অস্থিরতা করতেছে। অনেক সময় ডেঙ্গুর শক থেকেও এমনটা হতে পারে। যা মাথায়ও এফেক্ট করতে পারে। রোগীর মামাও লোকাল ডাক্তার। রাত ৮টার দিকে রোগী একটু প্রেশার বাড়ে এবং স্ট্রেবল হলে রোগীর স্বজনেরা তাকে ফেনী নিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, নিহতের স্বজনেরা প্রথমে বলেছিল ভুল চিকিৎসা। তবে নিহতের স্বজনেরা কোন আইনগত ব্যবস্থা নিবেনা।

মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু:
নোয়াখালীর চাটখিলে ফসলি জমির মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ফুলেরচরি টু মোহাম্মদপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুল আলম (১২) উপজেলার একই ইউনিয়নের মধ্য মোহাম্মদপুর গ্রামের টিবরা বাড়ির মো.মনির হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় জনতা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, চাটখিলের বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থানীয় প্রশাসনের নিরবতায় ফসলি জমির মাটি কাটা ও বিক্রির মহাউৎসব চলছে। রাতে ও দিনে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের কুলশ্রী ও পরানপুর মাঠ থেকে আবাদি জমির মাটি কেটে মোহাম্মদপুর ও মলংচর গ্রামে বিক্রি করছে একদল মাটি খেকো। শুক্রবার রাতে আশরাফুল তার বাবার সাথে স্থানীয় কেজি স্কুল মার্কেটে যায়। ওই মার্কেট থেকে ফেরার পথে অবৈধ মাটিবাহী ট্রাক্টর তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আশরাফুলের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

সেনবাগে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূ হত্যা:
সেনবাগে বিয়ের মাত্র ৪ মাসের মাথায় যৌতুকের দাবী মিটাতে না পারায় চুমকী আক্তার (১৭) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করার অভিযোগ ওঠেছে স্বামী ও শাশুড়ীর বিরুদ্ধে। নিহতের চুমকী বেগমগঞ্জ উপজেলার ৬নং রাজগঞ্জ ইউনিয়নের কমর উদ্দিন কবিরাজ বাড়ির মালোশিয়া প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের চাচা পালক পিতা মামুন অভিযোগ করে বলেন, সেনবাগ উপজেলা কাবিলপুর ইউপির ছমির মূন্সির হাট ২নং ইয়ারপুর পাটোয়ারী মার্কেট সংলগ্ন টিটি সাহেবের বাড়ির মৃত নজরুল ইসলাম ট্রেইলারের ছেলে মোঃ আল আমিন প্রকাশ সাজুর সঙ্গে বিগত ৪মাস আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের জামাইকে সিএনজি ক্রয় করার জন্য ২লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। এরপরও জামাই সাজু তার মালোশিয়া প্রবাসী শ্বশুড় সালা উদ্দিনের নিকট আরো ২লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে শনিবার দুপুরে স্বামী ও শাশুড়ী মিলে চুমকীকে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রকাশ করে।
এরপর খবর পেয়ে সেনবাগ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মিজানুর রহমান ও এসআই আবদুল সালামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে সুরাহাল রিপোর্ট তৈয়ার করে লাশের ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেলারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এঘটনায় এলাকাবাসী স্বামী সাজু ও শাশুড়ী মেহের আফরোজকে আটক করলে পুলিশ সোপার্দ করলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
যোগাযোগ করলে সেনভাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এসএম মিজানুর রহমান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিতকরে বলে ময়না তদন্তে লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট হাতে পেয়ে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। নিহতের পািরবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী সাজু ও শাশুড়ী মেহের আফরোজকে থানায় আনা হয়েছে।

সদরে কিশোর চালককে হত্যা:
নোয়াখালী সদর উপজেলায় এক কিশোর চালককে হত্যা করে করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ হত্যাকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ডাক্তার বাজার স্লুইস গেইট খাল সংলগ্ন একটি কবরস্থানের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মো.বাবর হোসেন (১৮) উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো.সেলিমের ছেলে।

নিহতের দূর সম্পর্কের খালাতো ভাই মো.রাজীব জানান, সাব্বির নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির অটোরিকশা ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত বাবর। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার সাথে আমার শেষ দেখা হয়। ওই সময় তাদের বাড়ির সামনে এক বন্ধুর সাথে তার অটোরিকশার উপর বসে আড্ডা দিচ্ছে। বাবর বলেছিল রাতে তার একটি ভাড়া আছে। কিন্ত কার ভাড়া এ সম্পর্কে কিছু জানায়নি। এরপর রাত ১০টার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। রাত ৩টার দিকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে ফোন দিলে অপরিচিত এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে জানায় ফোনটি সোনাপুর জিরো পয়েন্টে রাস্তার ওপর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নম্বরে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে বাবর তার অটোরিকশাসহ নিখোঁজ ছিল।

রাজীব আরো জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এক নারী শাক তুলতে গিয়ে উপজেলার ডাক্তার বাজার স্লুইসগেইট খাল সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে বাবরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। একই সময়ে বাবরের বোনেরা ভাইয়ের নিখোঁজের বিষয়ে সুধারাম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধারের খবর পায়। খবর পেয়ে বাবরের অটোরিকশার মালিক সাব্বির এবং আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হই। দিদারের গলায় শক্ত কিছু পেঁচানোর আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করছি, অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতেই বাবরকে গলায় শক্ত কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসরাম বলেন, নিহত কিশোর অটোরিকশা চালক কিনা জানিনা। তবে আমরা একটা তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে শেয়ার করুন...

এ বিভাগের আরো খবর....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *