দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত নোয়াখালীর ইব্রাহিমের বাড়িতে শোকের মাতম
নিশান ডেক্স: পরিবার পরিজনের মুখে হাসি ফুটাতে দক্ষিণ অফ্রিকায় গিয়ে আরো এক বাংলাদেশী সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত এই রেমিট্যান্স যোদ্ধার নাম ইব্রাহিম খলিল। রবিবার রাত ১২টার দিকে তার নিজ ব্যবসা তিনি সন্ত্রাসীদের গুলিতে ও চুরিকাঘাতে খুন হন। ইব্রাহিম খলিলেরর মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের জীবনে নেমে এসেছে ঘোর আন্ধাকার। এলাকায় বিজার করছে শোকের ছায়া। নিহতের লাশের পতিক্ষায় আছে স্বাজনরা। ইব্রাহিম কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নূর সোনাপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। জানা গেছে, ইব্রাহিম খলিল জিবীকার তাগিদে ও পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটাতে ২০১০ সালে আফ্রিকায় পাড়ি জমান। পরে নর্থ ওয়েস্ট প্রদেশের অট্টস্যাডেল শহরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। পরবর্তীতে তার শালা জসিম উদ্দিনকেও আফ্রিকায় নিয়ে যান তিনি। জসিম যাওয়ার পর আরও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন ইব্রাহিম। এর পর থেকেই স্থানীয় কিছু নিগ্রো সন্ত্রাসী তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রবিবার রাতে সন্ত্রাসীরা তার দোকানে হামলা চালিয়ে মালামাল লুট করতে থাকে। এ সময় তিনি বাঁধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে পালিয়ে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ইব্রাহিমের মৃত্যুর খবর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে এলাকায় শোকের ছাড়ায় নেমে আসে। ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেওয়ার ভাষা পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। ইব্রাহিমের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা নিহত ইব্রাহিম খলিলের পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী জাতী সংঘের মাধ্যমে আফ্রিকায় বাংলাদেশীদের হত্যার বিচার দাবী করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
স্থানীয় নরোত্তমপুর ইউনিয়নের মেম্বার বাহার উদ্দিন জানান, ইব্রাহিম অত্যান্ত সহজ সরল ছিলো। তার মৃত্যুতে এলাকাবাসী শোকাহত। এমন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেনা। সরকারের কাছ আমাদের দাবী এই হত্যাকান্ডের যেন বিচার হয়।
দেশের জন্য ও পরিবারের মানুষদের সুখে শান্তিতে রাখার জন্য প্রবাসে গিয়ে ইব্রাহিমের মতো আর কোন প্রবাসী যেন সন্ত্রাসীদের হাতে এমন নির্মম খুনের শিকার না হয় সে ব্যাপারে সরকার যথাযথ প্রদক্ষেপ গ্রহন করবে এমটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।