হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে নোয়াখালী
নিশান ডেক্স: মাঘের শীতে নাকি বাঘে খায়। যদিও মাঘ মাস এখনও আসেনি, অগ্রহায়নের শেষে, পৌষের শুরুতেই হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে পুরো নোয়াখালীর প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষ। মৌসুমের শুরুতে তেমন শীত অনুভূত না হলেও গত কয়েকদিনের মৃদু শৈত্যপ্রবাহে অতিরিক্ত হারে শীত বাড়ছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন ছিন্নমূল লোকজন। তীব্র শীতে স্টেশন, ফুটপাত ও বিভিন্ন খোলা স্থানে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। শীতের কারণে শহরের সাতমাথায় ফুটপাত ও হকার্সসহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে। সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। বেলা পড়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা পড়তে শুরু করে এবং তাপমাত্রা কমতে থাকে। রাতে ও সকালে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
চৌমুহনী শহরের গাড়ি চালক আনোয়র হোসেন জানান, ‘শীতের তীব্রতা খুব বেড়েছে। কুয়াশা থাকায় চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর-ফেনী মহাসড়কে সকালেও সন্ধা হওয়া পর থেকে কুয়াশার জন্য গাড়ি চালাতে প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে ফগ ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছি। কুয়াশার কারণে ধীরে চলাচল করতে গিয়ে সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না।’
চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশনের পাশে বস্তিতে আশ্রয় নেওয়া এক ব্যক্তি জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার শীত অনেক বেশী। দিনভর যদি কোনো কাজ পাই তা করে রাতে আবার স্টেশনের ফুটপাতে ঘুমাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনোও শীতবস্ত্র না পাওয়ায় অনেক কষ্টে আছি।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষকের সাথে কথা বলতে তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। শীতের পরিমান তুলনামূলক ভাবে আরো বাড়তে পারে। তবে সর্বনি¤œ ও সর্বোচ্ছ তাপমাত্রা কাছাকাছি থাকায় নোয়াখালীতে শীতের তীব্রতা গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবে এই রকম কতদিন থাকবে এখনো ঠিক বলা যাচ্ছে না।