নোয়াখালীতে তীব্র শীতে অসহায় পথ শিশুরা
স্টাফ রিপোর্টার: তীব্র শীতে নোয়াখালীতে অসহায় গরীব দু:স্থ পথ শিশুদের হতাশার শেষ নেই। তাদের দেখার কেউ যেন নেই। সরেজমিনে নোয়াখালীর জেলার চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতে হাজার হাজার শিশু খালি গায়ে ধুলা ময়লা জড়িয়ে পড়ে থাকে। প্রচন্ড শীতে তাদের জীবন হয়ে উঠে ভয়াবহ ও দূর্বীষহ। দরিদ্রদের কাছে এই মৌসুমটি খুবই কষ্টকর। যাদের গরম কাপড় নেই তাদেরকে কাবু করে রেখেছে শীত। শীতের শুরুতেই কষ্টের মধ্যে দিয়ে তারা কোনভাবে দিনাতিপাত করছে। গভীর রাত এবং ভোরে দেখা যায়, বিভিন্ন মার্কেটের বারান্দা ও ফুটপাতে যেসব ছিন্নমূল লোকজন রাত যাপন করছে তাদের কষ্টের শেষ নেই। গরম কাপড়ের অভাবে তারা শীতের সাথে যুদ্ধ করে কোনভাবে রাতপার করছে। আর অপেক্ষা করছে পরদিন সকালের সূর্যের তাপের জন্য। শীতার্থদের মধ্যে বেশি কষ্ট পাচ্ছে ছিন্নমূল পথ শিশুরা। সেইসব পথ শিশুদের কষ্ট দেখার মত কেউ নেই। সরেজমিন দেখা যায় তাদের মধ্যে কেউ-কেউ প্লাষ্টিকের বস্তা গায়ে দিয়ে শীতে কাঁপতে কাঁপতে রাত যাপন করছে কোন মার্কেটের বারান্দা বা ফুটপাতে। অনেকেই ছেড়া কাঁথা গায়ে দিয়ে রাত যাপন করছে। অনেকে আবার গুটিশুটি দিয়ে আগুনের পাশে বসে রাত পার করছে। এছাড়াও কিছু হত দরিদ্র লোক রয়েছে যারা অর্থের অভাবে শীতের কাপড়ও কিনতে পারছে না। এ অবস্থায় সামর্থ্যবানদের কাছে তাদের প্রত্যাশা একটি গরম কাপড়। পথ শিশুরা বলে, সারাদিন টোকাই করে যে টাকা পাওয়াযায় তা দিয়ে একটি গরম কাপড় কিনার চেষ্টা করছে কিন্তু কুলিয়ে উঠতে পারছে না। কারণ ওই টাকা দিয়ে খাবার যোগাতে হয় তকে। তাই শীতের কাপড় ক্রয় করতে পারছে না। রিক্সা চালক বলাই মিয়া বলেন, তার পরিবারে স্ত্রী সন্তানসহ ৮ জন সদস্য। তিনি রিক্সা চালিয়ে সারাদিন যা আয় করেন তা দিয়ে পরিবারের খাবার যোগাতেই কষ্ট হয়। এর মধ্যে গরম কাপড় ক্রয় করার সামর্থ্য নাই। আর কিছু মানুষ রয়েছে যাদের একটিও গরম কাপড় নেই। এ অবস্থায় সকলের সহযোগিতা দরকার দরিদ্রদের জন্য। শীতার্থ লোকজনকে সহযোগিতা করা সকলেরই দায়িত্ব। যাদের সামর্থ রয়েছে তারা যদি শীতে কষ্ট পাওয়া লোকজনের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে তাহলে হত-দরিদ্র লোকজন ও পথশিশুরা কিছুটা না হয় শীতের কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে।