জাতীয় নিশান প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ভুঁইয়ার হাট বাজারের পূর্ব পাশে ঘনবসতি পূর্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে একতা ইট ভাটা। এখানে প্রকাশ্যে গাছ পুড়িয়ে ইট তৈরী করায় আশপাশের পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দুষিত হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়েছে। দ্রæত অভিযান চালিয়ে ইট ভাটটি পুরোপুরি বন্ধের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায়, একতা ইট ভাটার মালিক আনোয়ার হোসেন মিরন জোরপূর্বক ফসলী জমি দখল করে ঘনবসতিপূর্ন এলাকায় ইটভাটাটি নির্মান করেছেন। ইট ভাটাটিতে প্রকাশ্যে গাছ পুড়িয়ে ইট তৈরী করা হয়। এতে এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ দূষন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে জনস্বাস্থ্য। ইট ভাটাটি প্রধান সড়কের পাশেই অবস্থিত। ইটভাটার আশপাশে বসত বাড়ি-ঘর, স্কুল, মাদ্রাসা, সমজিদ, মোক্তবসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইট ভাটাটির সরকারী কোন অনুমতি নেই, নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র। অবৈধ এই ইট ভাটাটি বন্ধের জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর পেক্ষিতে গত ২ ডিসেম্বর কবিরহাট উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ ও সেনা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে ইট ভাটাটি বন্ধ করে দেন এবং এখানে ইট তৈরী না করতে মালিককে নির্দেশ দেন জেলা পরিবেশ অধিদন্তরের কর্মকর্তারা। কিন্তু গত ৪-৫ দিন থেকে ইট ভাটার মালিক পূনরায় সেখানে ইট তৈরীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নতুন করে ইট তৈরীর সরঞ্জাম মজুদ ও চিমনি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আমরা দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ এই ইট ভাটাটি বন্ধের দাবী জানিয়ে আসলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। বরং যারা ইট ভাটাটি বন্ধের জন্য দাবী জানিয়েছে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও প্রান প্রান নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা চাই গাছ বিনাশকারি ও পরিবেশ দুষনকারি এই অবৈধ ইটভাটাটি দ্রæত পুরোপুরি বন্ধ হোক।
এ বিষয়ে কথা বলতে ব্রিক ফিল্ডের মালিক আনোয়ার হোসেন মিরনকে পাওয়া যায়নি। একাধিক বার মোবাইলে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন জানান, আমরা এটা একবার ভেঙ্গে দিয়েছি। কেউ আইনের উর্ধে নয়, এখন আবার অবৈধ ভাবে ইট তৈরী করতে গেলে আমরা আবার অভিযান চালিয়ে ভেঙ্গে দেবো।
নোয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিহির লাল দত্ত জানান, একতা ইট ভাটটির সরকারী কোন অনুমোদন নেই। আমরাও ছাড়পত্র দেই নি। অবৈধ হওয়ায় সম্প্রতি আমরা অভিযান চালিয়ে এটি বন্ধ করে দিয়েছি। তারা আদালতে গিয়েছে। আদালত বলছে তিন মাসের মধ্যে সমাধান করতে। কিন্তু ইট তৈরী করার কোন অনুমতি আদালত দেয়নি। তারা যদি আমার ইট তৈরী করে, আমরা আবার অভিযান চালাবো।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, কবির হাটে যদি অবৈধ কোন ইট ভাটা থাকে তা ভেঙ্গে দেওয়া হবে। পরিবেশ দুষণকারী ইট ভাটার বিরুদ্ধে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। এ বিষয়ে কবির হাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলবেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
সম্পাদক: ইয়াকুব নবী ইমন, মোবাইল: : ০১৭১২৫৯৩২৫৪, ইমেইল-: jatiyanishan@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2025 দৈনিক জাতীয় নিশান. All rights reserved.