জাতীয় নিশান রিপোর্টার: নোয়াখালীর সেনবাগে মহিউদ্দিন পিন্টূ(২৪) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার সন্ধায় উপজেলার ছমিরমুন্সির হাট এ হত্যাকান্ড ঘটে। নিহত মহিউদ্দিন পিন্টূ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত যুবক মো: মোস্তাফিজ পিয়াস(২৩) একই উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে । ঘটনার পর থেকে ঘাতক পিয়াস পালাতক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মোস্তাফিজ পিয়াসের সাথে পাশ্ববর্তি বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তারের মেয়ে নুসরাত জাহান লিজার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক উভয় পরিবারের কেউ মেনে নেয়নি। পারিবারিক চাপে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর পিয়াস অন্যত্র বিয়ে করে। প্রেমিক পিয়াসের বিয়ের খবর জানতে পেরে রাগে, ক্ষোভে ও দু:খে ১ লা জানুয়ারি দুপুরে প্রেমিকা লিজা বিষপানে আত্নহত্যা করে। এই আত্নহত্যার জের ধরে লিজার পরিবারের সদস্যরা পিয়াসের উপর ক্ষুব্ধ হয়। এক পর্যায়ে লিজার বড় ভাই সোহাগ ও সাজু তার কয়েক জন সহপার্টিকে নিয়ে ছমির মুন্সির হাট পিয়াসের বাবার দোকানে আসে। তখন বাবাকে সহযোগীতা করতে দোকানে অবস্থান করছিলো পিয়াস। সেখানে তাদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পিয়াস উত্তেজিত হয়ে দোকান থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে সোহাগকে কোঁপ দেয়। কিন্তু সোহাগ শরে গেলে তার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা পিন্টূর ঘাড়ে লাগে। মুহূর্তে পিন্টূ মাটিতে লুটে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে নিলে গেলেও ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় সেনবাগ থানা পুলিশ বাদি হয়ে পিয়াসকে একমাত্র আসামী করে মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে সেনবাগ থানার ওসি (তদন্ত) নাসির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ বাদী হয়ে পিয়াসকে আসামী করে মামলা করেছে। ঘটনার পর পরেই ঘাতক পিয়াস পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে।
সম্পাদক: ইয়াকুব নবী ইমন, মোবাইল: : ০১৭১২৫৯৩২৫৪, ইমেইল-: jatiyanishan@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 দৈনিক জাতীয় নিশান. All rights reserved.