শিরোনাম :

বেগমগঞ্জে গৃহবধুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

  • আপডেট সময় : সোমবার, নভেম্বর ১৪, ২০২২
  • 482 পাঠক

জাতীয় নিশান রিপোর্টার: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মনোয়ারা বেগম(৫০) নামের এক গৃহবধুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন দেবরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামী মিজানুর রহমান জসিম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করায় হামলাকারীরা অভিযোগের বাদী, গৃহবধু ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, একলাশপুর ইউনিয়নের আদর্শ রোড এলাকার কাশের মিয়ার বাড়ির আবুল কাশেমের পুত্র মিজানুর রহমান জসিমের সাথে তার ছোট ভাই আবুধাবী প্রবাসী মাসুদের রহমানের সাথে দীর্ঘদিন থেকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিস দরবার হলেও কোন সুরাহা হয়নি। এর জের ধরে গত ৩ নভেম্বর সকালে মাসুদের নেতৃত্বে তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের নেতৃত্বে জসিমের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে প্রথমে সিসি ক্যামরা ভাংচুর করে। এর পর ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট শুরু করে। এ সময় বাধা দেওয়ায় তারা জসিমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামী মিজানুর রহমান জসিম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মাসুদ ও তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর হামলাকারীরা বাদী, গৃহবধু ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার বাদী গৃহবধুর স্বামী মিজানুর রহমান জসিম জানান, আমার স্ত্রীর উপর হামলার সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলামনা। প্রতিবেশীরা এগিয়ে না আসলে হয়তো তারা আমার স্ত্রীকে মেরেই ফেলতো। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্ধা জানায়, মাসুদ খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। সে বিদেশ থেকে যতবারই আসে একেববার একেক জনের সাথে মারামারিতে লিপ্ত হয়। জমিতে ধানের চারা রোপনকে কেন্দ্র করে এলাকার এক নারীকেও মারধর করে মাসুদসহ অন্যরা। সুধু মাসুদই নয়, তার স্ত্রীও খারাপ মহিলা। তাদের দুই জনের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাদের নির্যাতনের হাত থেকে আপন চাচাও রক্ষা পায়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত মাসুদের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্বজনরা জানায়, ঘটনার পর থেকে মাসুদ এলাকা চেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ আসলে বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন এস.আইকে দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে শেয়ার করুন...

এ বিভাগের আরো খবর....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *