জাতীয় নিশান প্রতিবেদক ঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে নিজ ঘরের পাশেই মিললো স্বতন্ত্রপ্রার্থীর এজেন্ট পলাশের গুলিবিদ্ধ লাশ।
শনিবার (১৩ জানুযারী) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনে স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, বাফুফের সহ সভাপতি, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও তমা গ্রুপ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের নির্বাচনী এজেন্ট মোঃ সহিদুজ্জামান পলাশ (৩২) এর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহত পলাশ সোনাইমুড়ী উপজেলার ৬ নং নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব মির্জানগর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে। সে পূর্ব মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে কাঁচি প্রতীকের পোলিং এজেন্ট ছিলো।
পলাশের স্ত্রী জানান তার স্বামী সহিদুজ্জামান পলাশ ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী মোহাঃ আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করেছিলেন। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুঠোফোনে ভিডিও কলে স্বামী পলাশের সাথে সর্বশেষ কথা হয়েছিলো তার, হাস পার্টির কথা বলে তাকে ডেকে নেয়া হয়। একইদিন রাত সাড়ে ৯টায় তার স্বামীর মৃত্যুর খবর পান তিনি। পলাশের স্ত্রী ও পরিবার আত্মীয় স্বজনেরা পলাশ ওজির হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাঃ আতাউর রহমান ভূঁইয়া অভিযোগ করে জানান ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট ও অবৈধ প্রভাব বিস্তারের প্রতিবাদ করায় ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনের দিন থেকে স্থানীয় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা পলাশকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরই জের ধরে তাকে খুন করা হতে পারে বলে ধারণা করে তিনি বলেন এ হত্যাকান্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নৌকা প্রতীকের বিজয়ী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। তিনি বলেন গত ১০ বছর নোয়াখালী-২ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। দীর্ঘ এই সময়ে এলাকায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচারে চালাচ্ছে। তবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানার পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের মুখমণ্ডল ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খবর পেয়ে নোয়াখালী জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) নিত্যানন্দ দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্ব মির্জানগর গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের খালি জায়গায় রক্তাক্ত অবস্থায় পলাশের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক বিষয়টি সোনাইমুড়ী থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে কে বা কারা পলাশকে খুন করেছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিভাগের আরো খবর....
Leave a Reply