
সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে আনোয়ার হোসেন রাজু:
প্রবাসজীবন মানেই শুধু রেমিট্যান্স প্রেরণ নয়— কারো কারো জন্য তা হয়ে ওঠে দেশের জন্য নিষ্ঠা, দায়িত্ব আর ত্যাগের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। তেমনি একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান । যিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে প্রবাসের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর শক্তিশালী একটি অবস্থান গড়ে তুলেছেন। একাধারে সফল ব্যবসায়ী, প্রবাসী সমাজের জনপ্রিয় মুখ ও রাজনীতির প্রাজ্ঞ সংগঠক হিসেবে তিনি শুধু প্রবাসেই নয়, নিজের জেলা-উপজেলার প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও রেখেছেন সক্রিয় ভূমিকা। তাঁর হাত ধরেই জন্ম নিয়েছে বহু প্রবাসী সংগঠন, যেগুলোর মাধ্যমে প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি, দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক অসাধারণ ইতিহাস তৈরি হয়েছে।
সমাজসেবায় অগ্রণী ভূমিকাঃ
আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান সবসময় বিশ্বাস করেন— “জনসেবা মানেই প্রকৃত রাজনীতি।” তাঁর এই বিশ্বাসের প্রতিফলন দেখা গেছে দেশে বিভিন্ন দুর্যোগ ও সংকট মুহূর্তে। বন্যা, করোনা মহামারি বা গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা— প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি স্ব-উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা ও শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের নজির রেখেছেন। নিজ এলাকার স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও রাস্তাঘাট উন্নয়নে তিনি বরাবরই ছিলেন অগ্রগামী।
সাংগঠনিকভাবে প্রবাসের নেতৃত্ব দেয়ার কারণেঃ
বৃহত্তর নোয়াখালীর এক তৃতীয়াংশ পরিবারের কেউ না কেউ জীবিকা তাগিদে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী । বিশেষ করে করোনা কালীন সময়ে ঘরবন্দী অসহায় প্রবাসী শ্রমিকদের ক্যাম্পে গিয়ে চাল ডাল চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিজ হাতে পৌঁছে দিয়েছেন, টেলিফোন করে খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং কি দেশে অবস্থানরত তাদের পরিবার-পরিজনের । অসহায় প্রবাসী পরিবারের জন্য বস্তা ভর্তি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিজ হাতে রেখে এসেছেন তাদের দরজার সামনে। যাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংগ্রহ করে, নিজ অফিসে বসে মোবাইলের মাধ্যমে নগদ অর্থ ট্রান্সফার করে সহযোগিতা করেছেন অসংখ্য প্রবাসীকে।
আন্দোলন ও রাজনৈতিক সংগ্রামে তাঁর ভূমিকাঃ
প্রবাসে বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন, সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি শুধু সংগঠক নন, কর্মীদের সাহস আর প্রেরণার উৎস। দলের দুঃসময়ে বারবার দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে, নতুন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে ও প্রবাস থেকে কেন্দ্রের সাথে সেতুবন্ধন তৈরিতে তিনি পালন করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশাঃ
এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সমাজসেবামূলক কাজ ও রাজনীতির প্রতি তাঁর অগাধ নিষ্ঠার ফলেই তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাঁর দাবি, “আমি প্রার্থী হতে চাই শুধু জনপ্রতিনিধি হবার জন্য নয়— আমি দেশ, দল ও জনগণের সেবায় আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে চাই।”
প্রবাসী ও দেশের জনগণের আশাঃ
প্রবাসে থাকা সহযোদ্ধা নেতাকর্মীরা যেমন তাঁর পক্ষে একবাক্যে সমর্থন জানাচ্ছেন, তেমনি দেশের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। জনাব আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান প্রমাণ করেছেন, রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতার খেলা নয়— এটি হতে পারে ত্যাগ, সেবা আর নেতৃত্বের প্রতীক।
উপসংহার:
জনাব আলহাজ্ব আব্দুল মন্নান এর জীবনের প্রতিটি ধাপ প্রমাণ করে তিনি শুধু একজন সফল প্রবাসী নন, বরং একজন আদর্শ রাজনীতিবিদও বটে। আগামী নির্বাচনে তাঁর মতো একজন সৎ, সাহসী ও জনবান্ধব নেতৃত্বের প্রয়োজন, যিনি নির্বাচিত হলে সরকারি অনুদান নয় বরং উনার নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার অবকাঠামো, মানবসম্পদ সহ সকল প্রকার উন্নয়ন সম্ভব । এবং এ ধরনের অসংখ্য জনহিতকর কার্যক্রমের মাধ্যমে জনাব আব্দুল মন্নান জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারেন।