জাতীয় নিশান প্রতিবেদক ঃ নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক তার কাঁচি মার্কার পোস্টার ছেঁড়া, কর্মী সমর্থকদের হুমকি প্রদান ও সাধারণ ভোটারদের অনুদান দেয়া এবং প্রলোভনের অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কাছে পৃথক ২ টি লিখিত অভিযোগ করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও স্বতন্ত্র এ প্রার্থী।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোরশেদ আলমের কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে স্বতন্ত্র এ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের হুমকি দিয়ে আসছে।
এদিকে, বুধবার নাটেশ্বর ইউনিয়নের দিঘিরজার বাজার, কাউন্সিল বাজার, অম্বরনগর ইউনিয়নের শান্তির হাট বাজারে কাঁচি মার্কার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন নৌকা প্রার্থীর সমর্থক।
অপরদিকে, নাটেশ্বর ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে রকি ও আবুল হোসেনের ছেলের ফখরুদ্দিন মাজুসহ কর্মীরা তার পোস্টার নামিয়ে ছিঁড়ার অভিযোগ করেন। বিভিন্নভাবে কাঁচি মার্কার পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
অপর অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বারাহিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তা মেরামতের জন্য এলাকাবাসীকে পঁচিশ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন। আরও টাকা দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দেন নৌকার প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যার ভিডিও ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করবে। কিন্তু জনগণের ভোটাধিকার বাঁধা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পাঁয়তারা করা হচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই নৌকার সমর্থকরা তার কর্মীদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কাছে এ পর্যন্ত আচরণ বিধি বঙ্গের অভিযোগ এনে কয়েকটি অভিযোগ করলেও সুফল পাচ্ছেন না।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, নোয়াখালী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আচরণ বিধি ভঙ্গের কয়েকটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply