শিরোনাম :
নাটেশ্বরে এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী রাহির নামে অপপ্রচার, নোয়াখালীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন মদিনা বাজার যুব সমাজের উদ্যোগে যুবকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত প্রবাসীর সহযোগীতায় নোয়াখাালীতে মানবসেবা ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যোগে ইফতার ও ঈদ উপহার  হাতিয়ার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজ করবেন সুইডেনের রাজকন্যা   কোম্পানীগঞ্জে বৈদ্যুতিক শট সার্কিটের আগুনে পুড়ল ৮ দোকান ২১ বছর বয়সে দেখায় শিশুর মত, আকৃতি দমাতে পারেনি ৩ ফুট ১০ ইঞ্চির সোনিয়াকে বেগমগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান স্কুলে শিক্ষকের বেত্রাঘাত, স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশী স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা

আবারো নোয়াখালীর সূবর্ণচরে চুরির নাটক সাজিয়ে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

  • আপডেট সময় : বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪
  • 253 পাঠক
জাতীয় নিশান প্রতিবেদক ঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে ধর্ষণ করতেই চুরির নাটক সাজায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার (৫০)।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, মুন্সী মেম্বার মো. মেহরাজকে (৪৮) দিয়ে ঘরের সিঁধ কাটিয়ে গরু বেপারী মো. হারুনকে (৪২) নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। ওই সুযোগে মেহরাজ ওই নারীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে। পুলিশ ঘটনার পর পরই সিঁধ কাটার কাজে ব্যবহৃত কোদাল, কাঁচি, কালো প্যান্ট ও কানটুপি জব্দ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মুন্সীকে প্রধান আসামি, হারুনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে গতকাল রাত ৩ টার দিকে চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, হারুনের সহযোগিতায় ওই নারীকে খাট হতে টেনে হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে মাটিতে কাঁথা বিছিয়ে  আবুল খায়ের মুন্সী মেম্বার পায়ের বাঁধন ও পরিহিত সেলোয়ার খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সে সরে গেলে  হারুন তাকে পুনরায় পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।  মেহরাজ পাশের রুমে থাকা ওই নারীর মেয়েকে (১২) ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় কানে থাকা স্বর্ণের কানের দুল ও  ঘরে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায়। পরে মেয়ের হাতের বাঁধন খুলে দেয় এবং ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি ধমকি দেয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়েছে,  মূলত হারুন গৃহবধূর বসতঘরে মালামাল আছে বলে মেহেরাজকে চুরি করতে ইন্ধন যোগায়। মেহরাজ রাজী হলে সিধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। প্রবেশের পর হারুনের সাথে মুন্সী মেম্বারকে দেখে মেহরাজ অবাক হয় এবং বুঝতে পারে ধর্ষণ করতেই তাকে দিয়ে চুরির নাটক সাজায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজীব, সহকারী পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) নিত্যানন্দ দাস, চরজব্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে শেয়ার করুন...

এ বিভাগের আরো খবর....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *