সোনাইমুড়ী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কারখানায় চাঁদাবাজি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার (১০ জুন) বিকেলে জেলার সোনাইমুড়ী পৌরবাজারের এটিআর প্লাস্টিক মিলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ভুক্তভোগী মো. আতাউর রহমান বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের মকিল্যা গ্রামের মো. সুরুজ জামালের ছেলে এনামুল হক (২০), মো. সোলায়মানের ছেলে মো. ইস্রাফিল নোমান (২২), আহছান উল্যাহর ছেলে মো. আবু তালেব (২২), মোহাম্মদ আব্দুল করিমের ছেলে মাইন উদ্দিন (২৮), বাদশা আলীর ছেলে রফিক (৩০), বাবুল সর্দ্দারের ছেলে সোহেল (২৮), আব্দুল খালেকের ছেলে নিজাম উদ্দিন (২৫) ও মন্তাজ মিয়ার ছেলে কালাম (৩৫)। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জন স্থানীয় সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে স্থানীয় চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এটিআর প্লাস্টিক মিলে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার জসিম উদ্দীনের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় তিনি বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোঃ আতাউর রহমানকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এসময় স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে আসলে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায় তারা।এটিআরের স্বত্বাধিকারী মো. আতাউর রহমান জানান, সন্ত্রাসীরা আমার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসী এনামুল হক ও মো. ইস্রাফিল নোমানের নেতৃত্বে তারা এই বর্বরোচিত হামলা চালায়। হামলার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে তিনি ভীষণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে উল্লেখ করেন এবং আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার ওসি নাসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় রাতেই একটি মামলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আগেও থানায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। আসামীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ
Leave a Reply