ইয়াকুব নবী ইমন:
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর এবং মন্ত্রিপরিষদের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় ভবন ইস্তনায় আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেছেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর কৃতি সন্তান ডা. মোস্তফা হাজরা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও এইচ এম গ্লোবাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন গোলাম কিরবিয়া।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রীয় ভবন ইস্তনায় চাইনিজ নিউ ইয়ার উপলক্ষে এক গার্ডেন পার্টির আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্বরা অংশ নেন। বাংলাদেশি হিসেবে বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর সামাজিক সংগঠন ডা. মোস্তফা হাজরা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন গোলাম কিরবিয়া।
ক্যাপ্টেন গোলাম কিরবিয়া সিঙ্গাপুরে একজন সফল শিপিং ব্যবসায়ী। বিদেশে থাকলেও ভূলতে পারেননি নিজের জন্মস্থান। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের সেবা করার লক্ষে নিজের বাবা-মায়ের নামে গড়ে তোলেন ডা. মোস্তফা হাজরা ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি দেশে ও প্রবাসে বিভিন্ন সমাজ সেবা মূলক কাজ করে আসছেন। বিশেষ করে নিজ এলাকায় পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিকে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা, শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশ ও শিক্ষা সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় ক্যাপ্টেন গোলাম কিরবিয়া বলেন, “একটি সুশিক্ষিত জাতিই পারে দেশকে বদলে দিতে এবং সামগ্রিক উন্নতি আনতে। তাই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। ২০৪০ সালের মধ্যে চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলাকে একটি শিক্ষা নগরীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আজ আমি এক গৌরবময় অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলাম। সিঙ্গাপুরের মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ভবন ইস্তনায়, যা প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন, সেখানে প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি। সাবেক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এই সৌজন্যমূলক আয়োজন মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। আমি শিগগিরই এই স্মরণীয় দিনের আরও অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।”
এ ধরনের আন্তর্জাতিক আমন্ত্রণ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমাজ সেবামূলক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বকেও সামনে তুলে ধরে।
Leave a Reply