শিরোনাম :
বেগমগঞ্জে দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে মালিক শ্রমিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে ; মাওলানা বোরহান উদ্দিন নোয়াখালীতে মাদরাসায় ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ বেগমগঞ্জে দূনীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল ধানের ন্যার্য মূল্য পাচ্ছেনা নোয়াখালীর কৃষক নিয়োগ বাণিজ্য ও দূর্নীতিবাজ সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল বেগমগঞ্জে কিশোরকে গুলি করে হত্যা, আটক ৩ অর্থ আত্মসাত মামলার আসামি যুবলীগ নেতা হাজি মো: সেলিমের সহযোগী গ্রেফতার এলডিপি নেতাকে না পেয়ে তার ভাইয়ের উপর হামলা, গুরুতর আহত নোয়াখালীতে পৃথক ঘটনায় যুবলীগ নেতা গৃহবধু প্রবাসী স্কুলছাত্রসহ নিহত ৬

ধানের ন্যার্য মূল্য পাচ্ছেনা নোয়াখালীর কৃষক

  • আপডেট সময় : বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫
  • 58 পাঠক
জাতীয় নিশান প্রতিবেদক:
নোয়াখালীতে ন্যার্য মূল পাচ্ছেনা ইরিা বোরো ধান চাষিরা। সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করে দিলেও কিছু মিল মালিক ও দালাল চক্র সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে অনেক কম মূল্য হাকাচ্ছে। প্রান্তিক কৃষকরা নিরুপায় হয়ে  মিল মালিক ও দালালদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত  জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বলে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ধান ক্রয় নিয়ে জেলায় শক্তিশালি দালাল সিন্ডিকেট গড়ে উঠলেও জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ ও কৃষি বিপনন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। বর্তমানে কৃষকরা হতাশার মধ্যে রয়েছেন। অনেক কৃষক ব্যাংক, বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে লোন নিয়ে ও ধার দেনা করে ধান রোপন করলেও এখন তাদেরকে মোটা অংকের লোকসান গুনতে হচ্ছে। তারা এখন কিভাবে ব্যাংকের লোন, ধার দেনা শোধ করবে, কি ভাবে সংসার চালাবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের কৃষক নুর নবী জানান, সরকার প্রতি মন ধানের দাম নির্ধারণ করেছে ১৪০০ টাকা। অথচ মিল মালিকরা ও তাদের নিয়োজিত দালালরা মন ৮০০-৯০০ টাকা দাম হাকাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন শ্রমিকের মজুরি খানাসহ প্রায় ১২০০ টাকা পড়ে। তাহলে ধান  কেটে শ্রমিকের মজুরি দিয়েই কুল পাচ্ছিনা। লাভ হবে কেমনে। আমাদের ভবিষ্যৎতো অন্ধকার। একই কথা জানালেন  সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ^র, বারগাঁওসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা। এ বিষয়ে কৃষকরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
কৃষি উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন বাবুল বলেন, সরকার ধানের মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও মাঠ পর্যায়ে কোন তদারকি নেই। তাছাড়া কৃষকরা সরকারী খাদ্য গুদামে ধান দিতে গেলেও নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে কৃষকরা কম দামে ধান বিক্রি করছে। মিল মালিক ও দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সরকারী কর্তৃপক্ষ একটু নজরদারি করলে কৃষকরা উপকৃত হতো।
তবে এ বিষয়ে কোন মিল মালিক বা দালাল চক্রের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
নোয়াখালী জেলা  কৃষি অফিসার ড. মিরা রানী দাস জানান, সরকার ইতিমধ্যে ধানের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত দামের ধান বিক্রির জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষকরা যদি কম মূল্যে ধান বিক্রি করে সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টির সাথে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য অধিদপ্তর জড়িত। আমি বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে কথা বলবো।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, কোন দালাল সিন্ডিকেটের বিষয়ে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। সরকারী ভাবে ধান ক্রয় এখনো শুরু হয়নি। কৃষকরা যদি কম মূল্যে ধান বিক্রি করে আমাদের কি করার আছে। আমরা কৃষকদের তালিকা তৈরী করছি, ধানের মান অনুযায়ী কৃষকরা ন্যার্য মূল্য পবেন। এ ক্ষেত্রে কৃষকদের আরো শতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক।

সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে শেয়ার করুন...

এ বিভাগের আরো খবর....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *