প্রতিনিধি:’প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় বনায়নের উপকারভোগীদের নিয়ে নোয়াখালী সুবর্ণচরে সচেতনতামূলক সভা ও উপকারভোগীদের মাঝে চুক্তি নামা (দলিল) বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বন বিভাগের বিভিন্ন উপকারভোগীদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৈতি সর্ববিদ্যা’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: ফরিদ মিঞা। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী বন সংরক্ষক কর্মকর্তা কাজী তারিকুর রহমান, জেলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন (চ্যানেল আই) প্রতিনিধি মো. হুমায়ুন আহম্মেদ প্রমুখ। উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শুধু সরকারের একার পক্ষে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ বনভূমি সৃজন কষ্টসাধ্য, বিধায় জনসাধারণকে এগিয়ে আসতে হবে। বাড়ির আনাচে কানাচে, খোলা জায়গায়, পতিত জমিতে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।’ জেলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, এ সামাজিক বনায়ন বর্তমান সরকারের দারিদ্র্য বিমোচনের একটি প্রকল্প। গাছ লাগিয়ে নিজের পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে গাছের পরিচর্যা করা নৈতিক দায়িত্ব। শুধু বাণিজ্যিক গাছ নয়, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য রক্ষায় ঔষধি গাছও লাগাতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৈতি সর্ববিদ্যা সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শুধু গাছ লাগালেই হবে না, যথাযথভাবে এর পরিচর্যা করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ বনভূমি সৃষ্টি করতে পারলে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারবো।’ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: ফরিদ মিঞা বলেন, বন বাঁচলে দেশ বাঁচবে। বন বাড়ানো গেলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে। বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে বেশি বেশি গাছ লাগানোর পাশাপাশি বনজ সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করণ, বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে সকলকে উদ্বুদ্ধ করাসহ ১০৪৫ জন সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে চুক্তিনামা (দলিল) বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply