জাতীয় নিশান প্রতিবেদক: তামান্না জাবরিন: কবিতার আলোয় আলোকিত এক সত্তা। তামান্না জাবরিনের জন্ম ১৭ জানুয়ারি ১৯৯৮। পিতা অধ্যাপক এম. এম. রিয়াজউদ্দীন (অবসরপ্রাপ্ত) এবং মাতা বেগম মাহফুজা। পারিবারিক শিক্ষার পরিবেশে বেড়ে ওঠা তামান্না শৈশব থেকেই সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগী ছিলেন।
সাহিত্যিক প্রতিভার অধিকারিণী তামান্না জাবরিন কবিতা লেখার পাশাপাশি গান, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি এবং প্রবন্ধ রচনায় সমান পারদর্শী। তাঁর লেখনী নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায়। একইসঙ্গে তিনি একজন খ্যাতিমান আবৃত্তিশিল্পী এবং দক্ষ উপস্থাপিকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর কণ্ঠের মাধুর্যে আবৃত্তি হয়ে ওঠে জীবন্ত, যা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
তামান্না জাবরিনের দক্ষতা শুধু বাংলা ভাষায় আবদ্ধ নয়; ইংরেজি ভাষাতেও তিনি সমান পারদর্শী। অসংখ্যবার বাংলা ও ইংরেজি কবিতা আবৃত্তিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। এছাড়া ইংরেজি বক্তৃতা ও বিতর্কে তাঁর অর্জিত পুরস্কার সংখ্যা অসংখ্য। ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করা এই প্রতিভাবান কবি বর্তমানে সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চায় নিজেকে নিবেদন করেছেন।
তামান্না জাবরিন বর্তমানে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ এবং উদীচী সাতক্ষীরা জেলা সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে তিনি সাহিত্যের পাশাপাশি সমাজসেবায়ও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন।
তাঁর কবিতার বিষয়বস্তুতে সামাজিক বৈষম্য, নারীর অধিকার, প্রকৃতির রূপ-মাধুর্য, মানবপ্রেম এবং বিরহের অনুভূতিগুলো গভীরভাবে ফুটে ওঠে। কাব্যিক ভাষার অলংকারে সজ্জিত প্রতিটি কবিতা যেন জীবন্ত চিত্র হয়ে পাঠকের মনের গভীরে প্রবেশ করে। প্রকৃতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ তামান্না তাঁর কল্পনা ও বাস্তবতার মিশ্রণে গড়ে তোলেন একেকটি সন্তানতুল্য কবিতা।
প্রায় চার শতাধিক কবিতার স্রষ্টা এই গুণী কবি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘উনিশ বসন্তে প্রেম’ প্রকাশ করছেন বইমেলা ২০২৫-এ। গ্রন্থটির প্রতিটি কবিতাই পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তিনি। এটি তামান্নার সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল সাক্ষর হয়ে থাকবে।
তামান্না জাবরিন একাধারে সাহসী, সৃষ্টিশীল এবং মননশীল একজন লেখক, যিনি শব্দের জাদু দিয়ে পাঠকের হৃদয়ে অনায়াসে জায়গা করে নেন। তাঁর লেখা একদিকে যেমন সৌন্দর্য ও অনুভূতির গভীরতা প্রকাশ করে, তেমনি সমাজের নানা অসঙ্গতিকেও আলোকিত করে। ‘উনিশ বসন্তে প্রেম’ কাব্যগ্রন্থটি সেই আলোকিত যাত্রারই প্রথম অধ্যায়।
Leave a Reply