জাতীয় নিশান প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর চৌমুহনীতে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শশুর বাড়িতে দুই শিশু সন্তানসহ জামাইকে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রী ও শুশুরকেও মারধরে আহত করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করা হলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা গেছে, চৌমুহনী পৌর হাজীপুর দক্ষিণ বাজার হাজী বাদশা মিয়ার বাড়ির আবদুল মালেকদের সাথে মৃত আবদুর রব বাহারের পুত্র রাশেদুল মমিন অনিকদের দীর্ঘদিন থেকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিলো। এর জের ধরে শনিবার অনিক, তার মামা বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের মনপুরা গ্রামের মকবুল আহাম্মদ পাটোয়ারী বাড়ির গোলাম মোস্তফার পুত্র আমেরিকান প্রবাসী মঞ্জুরুল ইসলাম, মনির উদ্দিন, অনেকের মা শামিমা আক্তারের নেতৃত্বে আবদুল মালেকের বাড়ী ঘরে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়। এ সময় ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা আবদুল মালেকের কন্যা ইসরাত ফারভীননের স্বামী হুমায়ুন খালেদ চৌধুরী রাজিবকে তার দুই শিশুসন্তানসহ গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে হামলাকারীরা। এ সময় বাঁধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা আবদুল খালেক, স্ত্রী শামিমা পারভীন, কন্যা ইসরাত পারভীন, শাবরিনা মালেকসহ অন্তত ৮ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আবদুল মালেক বাদি হয়ে হামলাকারী মঞ্জুরুল ইসলাম, মনির উদ্দিন, অনিক, শামিমা আক্তার, আবদুর রহিম খোকন, মাকসুদ বিন জাহের পিয়াস, নাসরিন সুলতানা পিয়া, মোস্তফা কামাল সোহেলকে আসামী করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনো কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার দাবী আবদুল মালেক জানান, আমার বাড়িতে বেড়াতে আসা মেয়ের জামাই, মেয়ে ও নাতিরাও সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি। তাদেরকে কোন দোষ ছিলোনা। আমরা থানায় এজাহার দিলেও পুলিশ এখনো কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি। হামলাকারীরা উল্টো আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply