জাতীয় নিশান প্রতিবেদক : নিজ দেশে পরবাসি নোয়াখালীর উড়ির চরের ভূমিহীন পরিবারগুলো। নেই মাথাগোজার ঠাই। দিন কাটে ভূমিদস্যুদের আতঙ্কে। সিডিএসপি প্রনিত তালিকা অনুযায়ী ভূমিহীনদের মাঝে দ্রুত বন্দোবস্ত দেয়ার দাবী স্থানীয়দের।
নোয়াখালীর মুল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের উড়ির চর। চরটি জেগে উঠার পর বিভিন্ন সময়ে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে হাতিয়া, সুবর্নচরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অসহায় নি:স্ব ভূমিহীনরা এখানে বসতি স্থাপন করে। দীর্ঘ ২৫—৩০ বছর তারা এখানে বসবাস করলেও নিজেদের নামে নেই কোন ভূমি। এ যেন নিজ দেশেই পরবাসি এসব ভূমিহীনরা। তাদের নামে বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিলেও কোন লাভ হচ্ছেনা। সম্প্রতি চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের আওতায় সিডিএসপি ভূমিহীনদের তালিকা করলেও তা বুঝিয়ে দেয়নি। এদিকে প্রশাসনের দীর্ঘ সূত্রতার কারণে ভূমিহীনদের এসব ভূমি দখল করার জন্য একশ্রেনীর ভূগ্রাসীচক্র নানা ভাবে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে ভূমিহীনরা। তাই দ্রুত সিডিএসপি প্রনিত তালিকা অনুযায়ী ভূমিহীনদের মাঝে ভূীম বন্দোবস্ত দেয়ার দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এসময় উড়ির চর সমাজ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক নসু মাঝি জানান, দীর্ঘদিন ধরে এখানকার গৃহহীন মানুষেরা বসবাস করে আসলেও পায়নি নিজের নামে কোন ভূমি। সিডিএসপি তালিকা করা হলেও এখনো কারোও নামে ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় ভূমিদস্যুদের হাত থেকে বাচতে সিডিএসপি তালিকা অনুযায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া জরুরী। দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সচেতনমহলও ।সিডিএসপি তালিকা অনুযায়ী বন্দোবস্তের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন নোয়াখালী সিডিএসপি কর্ম এলাকা চতলা খাল পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ সহ সচেহন মহল।
নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মিল্টন রায় জানান, দ্রুত বন্দোবস্তের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ও ভূমিদস্যুদের প্রয়োজনে উচ্ছেদের করা হবে।
উড়ির চরে বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। সেখানে শান্তিতে বসবাস করতে সরকার দ্রুত তাদের ভূমি বন্দোবস্ত দেবে, এমনটাই প্রত্যাশা উড়ির চরবাসীর।
Leave a Reply