জাতীয় নিশান প্রতিবেদকঃ নোয়াখালী—২ (সেনবাগ—সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনে নৌকার প্রার্থীকে পাগল কর্তৃক জুতা দিয়ে আঘাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্টসহ ১১ কর্মী সমর্থককে আসামি করে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে সেনবাগ উপজেলার সাহাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের দমদমা এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোরশেদ আলমের পথসভা চলাকালে মানসিক ভারসাম্যহীন এক লোক জুতা দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে। তিনি একজন বয়োবৃদ্ধ মানুষ। আমি নিজেই এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে এক ব্যক্তি জুতা হাতে এমপি মহোদয়কে হেনস্তার চেষ্টা করে। কিন্তু আমার ছোটভাই ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগে। যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উক্ত ঘটনার সাথে কোন রকম সম্পৃক্ততা না থাকার পরও হয়রানির উদ্দেশ্যে তার ছোট ভাই প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, কাঁচি প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সেনবাগ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর টিপু এবং সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাজেদুল হক তানভীর সহ তার ১১ জন কর্মী সমর্থককে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী নেতাকর্মীদের ওপর ও তাদের বাসাবাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও গুলি বর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। এসব ঘটনায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি। সেই সাথে প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রতি আস্থার প্রকাশ করেন।
এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মানিক আরোও বলেন, কাঁচির কর্মী সমর্থকদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার এবং ভোটারদের মাঝে ভয়ভীতি প্রদর্শণের উদ্দেশ্যে নৌকার প্রার্থী পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটিয়ে প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
Leave a Reply