শিরোনাম :
নোয়াখালীতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ গুনীজনদের সংবর্ধনা নোয়াখালীতে হাতের অপারেশন করতে গিয়ে প্রাণ গেল নারীর নানা অপকর্মের হোতা ডা: শর্মিষ্ঠা দে অবশেষে বেগমগঞ্জ থেকে বদলী  চৌমুহনীতে অগ্মিকান্ডে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি    বেগমগঞ্জে উদ্ধার অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেনি কবিরহাটে পুরুষ, মহিলা ভোট কেন্দ্র পৃথকীকরণের প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন বেগমগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৭১ এর স্বাধীনতার চেতনাকে লালন করে আগামী দিনে আলোকিত সমাজ গড়তে হবে-বরকত উল্যাহ বুলু সৌদি আরবে প্রবাস বাংলা প্রিমিয়ার লীগে নোয়াখালী ওয়ারিয়র্স দলের জার্সি উন্মোচন সোনাইমুড়ীতে ব্রাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান

বন্যায় নোয়াখালীর আল বারাকা মৎস্য খামার ও প্রজনন কেন্দ্রের ৭ কোটি টাকা ক্ষতি

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪
  • 895 পাঠক

ইয়াকুব নবী ইমন: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এবারের ভয়াবহ বন্যায় মৎস্য কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সব হারিয়ে পথে বসেছে অনেক চাষি। ঘুরে দাড়াতে তারা সরকরের সহযোগীতা কামনা করেছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৪নং হাজিপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত আল বারাকা মৎস্য খামার ও প্রজনন কেন্দ্রটি দীর্ঘ দিন থেকে এলাকায় সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। খামার ও প্রজনন কেন্দ্রটির মালিক মাছুদুল হক চৌধুরী লাখ লাখ টাকা ইনভেষ্ট করেছেন এই খাতে। এবারের বন্যায় এই প্রতিষ্ঠানটির সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। লাখ লাখ টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এই প্রজনন কেন্দ্রটি থেকে বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বল্প মূল্যে মাছ চাষীরা পোন সংগ্রহ করতেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সাথেই ব্যবসা পরিচালনা করছেন। কিন্তু কে জানতে এবারের বন্যায় সব কিছু তছনছ করে দিবে।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানটি গুনগত মানের পোনা উৎপাদানের জন্য জেলা পর্যায়ে ৭ বার ও উপজেলা পর্যায়ে ৩ বার পুরস্কার পেয়েছে। একই ভাবে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে কৃষি পুরস্কার লাভ করে। সব শেষ প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালের এগ্রিকালচার ইনপ্রটেন্ট পার্সন(এআইপি) পুরস্কারে ভূষিত হয়।
আল বারাকা মৎস্য খামার ও প্রজনন কেন্দ্রটির মালিক মাছুদুল হক চৌধুরী জানান, বন্যয় আমাদের সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে। আমাদের উন্নতির ধারাবাহিকতা নষ্ট করে দিয়েছে। আমারা এখাতে লাখ লাখ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করেছি। বন্যার পানিতে আমার লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। কয়েক লাখ টাকার মেসিনপত্র নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে আমার প্রায় ৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন কি করবো বুঝতে পারছিনা। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে এখন সরকারী সহয়োগীতা প্রয়োজন। তাই ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য অফিসার ইকবাল হোসেন ও বেগমগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার(অ: দা:) মাসুমা বেগমের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তাদের তালিকা করা হবে, সরকার থেকে কোন সহযোগীতা আসলে ক্ষয়ক্ষতি অনুযায়ী সহযোগীতা করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে শেয়ার করুন...

এ বিভাগের আরো খবর....