জাতীয় নিশান প্রতিবেদক ঃ নোয়াখালীর সোনইমুড়ি উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের এজেন্ট শহিদুজ্জামান পলাশকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তারদের নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার নাটেশ্বর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করার হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সোনইমুড়ির নাটেশ্বর গ্রাামের মো. আহসান উল্যাহ হাসান (৩৮), পূর্ব মির্জানগর গ্রামের মো. আকবর হোসনে সোহেল (৩৬) ও একই গ্রামের মো. মিরাজ (২১)। নিহত পলাশের স্ত্রী শারমিন আক্তার পিংকী বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন। তবে মামলার এজাহারে তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি।
জানা গেছে, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে একই উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব মির্জানগর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে পলাশের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ব মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের কাঁচি প্রতীকের এজেন্ট ছিলেন। মামলার এজাহারে নিহত পলাশের স্ত্রী উল্লেখ করেন, তার স্বামী পলাশ পূর্ব মির্জানগর গ্রামের বাড়িতে একা থাকতেন। তিনি মুরগি ও মাছের খামার দেখাশোনা করতেন। যেদিন পলাশ নিহত হন ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে সর্বশেষ কথা হয়। এরপর রাত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তার স্বামীকে হত্যা করে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করায় এবং ভোটের দিন জাল ভোট ও কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের প্রতিবাদ করায় নৌকার সমর্থকরা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এসব কারণে পলাশ খুন হতে পারেন।
সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, আমি ১০ বছর ধরে সংসদ সদস্য। এলাকায় কোনো অন্যায় বা অপরাজনীতিকে প্রশ্রয় দেই নাই। আমাকে সামাজিকভাবে খাটো করার জন্য অপপ্রচার করা হচ্ছে। দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে বলেছি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব বলেন, গ্রেপ্তারদের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply