
জাতীয় নিশান প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ায় সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ, বেগমগঞ্জ উপজেলায় বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমূহকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় বেগমগঞ্জ উপজেলা মুক্ত মঞ্চে বেগমগঞ্জ সোশ্যাল অ্যালাইনমেন্ট ফেডারেশন (বিএসএএফ) এ আয়োজন করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বেগমগঞ্জ সোশ্যাল অ্যালাইনমেন্ট ফেডারেশনের সভাপতি এস এম সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমা বিনতে আমিন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী বোরহান উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কামাক্ষা চন্দ্র দাস, চৌমুহনী পৌর বিএনপির আহবায়ক জহির উদ্দিন হারুন, এ রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিঙ্গাপুর প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম জনি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহিন উদ্দিন, জেলা ময়দা মিল মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, জায়ামাত নেতা নাসিমুল গনি চৌধুরী মহলসহ বিভিন্ন সরকারী অফিসের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা, উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুণীজনরা। অনুষ্ঠানে বেগমগঞ্জের উন্নয়ন, নোয়াখালী বিভাগ ও বিমান বন্দর বাস্তবায়ন, একটি ব্লাড ব্যাংক স্থাপন, মাদক প্রতিরোধ কমিটি গঠন সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
সংবর্ধিত অতিথি ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ বলেন, বেগমগঞ্জের মানুষের ভালোবাসা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকে দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করাই হবে আমার অঙ্গীকার।
ইউএনও মো. আরিফুর রহমান বলেন, বেগমগঞ্জের উন্নয়ন ও জনসেবার কাজে জনগণের সহযোগিতা সবসময় পাশে পেয়েছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি, তা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
সভাপতির বক্তব্যে এস এম সাহাব উদ্দিন বলেন, ড. আবু ইউসুফ আমাদের গৌরব। একইভাবে ইউএনও আরিফুর রহমানের কার্যকর পদক্ষেপ বেগমগঞ্জবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিয়েছে। আমরা গর্বিত যে এমন মানুষরা আমাদের মাঝে কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় গুণীজনেরা জানান, সচিব ও ইউএনওর আন্তরিক সহযোগিতা এবং তদারকির কারণে বেগমগঞ্জে সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের গতি বেড়েছে। তাঁরা মনে করেন, এ ধরনের সংবর্ধনা তাঁদের কাজের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের এক অনন্য মুহূর্ত। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, এ ধারা বজায় থাকলে সমাজকল্যাণ খাত আরও সমৃদ্ধ হবে এবং স্থানীয় জনগণ বাস্তব উন্নয়নের স্বাদ পাবে।